AIIMS-এর চিকিৎসকের শিশুদের টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ ‘অবৈজ্ঞানিক’ মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বড়দিনে বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া হবে, জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘোষণার পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন AIIMS-এর চিকিৎসক তথা মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা: সঞ্জয় কে রাই। তিনি জানিয়েছেন, শিশুদের টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ ‘অবৈজ্ঞানিক’ এবং এর কোনও সুফল পাওয়া যাবে না।

    উল্লেখযোগ্যভাবে, AIIMS-এ কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড টিকা ট্রায়াল হয় প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৮ অনুর্ধ্বদের উপর। সঞ্জয় রায় এই ট্রায়ালের ‘প্রধান তদন্তকারী’-র ভূমিকায় ছিলেন। ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা: সঞ্জয় কে রাই জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন দেশে যারা শিশুদের উপর টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

    উল্লেখ্য, বড়দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিন জানান, ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থোকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রিকশনারি ভ্যাকসিন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। ষাটোর্ধ্ব, যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে, তাঁদেরও ওই টিকাদান করা হবে।’ডা: সঞ্জয় কে রাই প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে একটি টুইটে লেখেন, ‘আমি নরেন্দ্র মোদীর ফ্যান। তিনি নিঃস্বার্থভাবে দেশবাসীর সেবা করেন। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, শিশুদের টিকাকরণের এই অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে আমি হতাশ।’

    একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই চিকিৎসক বলেন, ‘টিকার দুটি ডোজ এমনকী, বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেও বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ এটা প্রমাণিত যে করোনা টিকা ভাইরাসকে রুখে দেয়না। কিন্তু, তার ভয়াবহতাকে কম করে। টিকাকরণের ফলে আমরা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কোভিড মৃত্যু কমাতে পারি। সেক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত কার্যকরী।’

    সেক্ষেত্রে শিশুদের টিকাকরণ কেন অবৈজ্ঞানিক?
    এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁদের শরীরে সেভাবে কোনও করোনার উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে তাদের টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্য কী, এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, বড়দিনের দিন সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার আবেদন করেন মোদী।