সারাজীবন মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক হিসাবে থেকেই যে কাজ করতে চান বললেন অনুব্রত মণ্ডল

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী হবেন না, সাধারণ মানুষের সঙ্গেই থাকবেন। দুর্গাপুরের আদিবাসী মিলন মেলায় যোগ দিয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এমনটাই জানালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘আমি MLA নয়, MP নই, মন্ত্রী নই। দলের একজন সাধারণ কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যা বলেন, আমি তাই করি। আমার কোনও লোভ নেই। আমি কখনও মন্ত্রী হব না।’

    প্রতি বছরের মতো এবছরও দুর্গাপুরের পলাশডিহাতে আদিবাসী মিলন মেলা আয়োজিত হয়। সেই মেলাতেই যোগ দিয়ে আদিবাসী সহ সমাজের সকল স্তরের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কখনও মন্ত্রী বা কোনও সরকারি পদ নেবেন না এই দাবি জানিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘রাজ্যসভার সদস্যপদ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বলেছিলাম, দল ছেড়ে দেব। কারণ আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকব বলেছিলাম। আমি ভাঁওতাবাজি রাখি না।’ অর্থাৎ কোনও মন্ত্রী বা সাংসদ হয়ে নয়, সারাজীবন মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক হিসাবে থেকেই যে কাজ করতে চান তা এদিন স্পষ্ট করে দেন অনুব্রত।

    এদিন আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন অনুব্রত। তাঁর আমন্ত্রণেই এদিন দুর্গাপুরে এসেছেন বলেও জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেউচা-পাঁচামিতে যে প্রকল্প হচ্ছে তার দায়িত্ব আদিবাসী নেতা সুনীলকে দিয়েছি। তাই সুনীলের আমন্ত্রণকে না বলতে পারিনি।’ জেলাশাসকের জরুরি মিটিং পিছিয়ে দিয়েও আদিবাসী ভাই ও বোনেদের জন্য তিনি এখানে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানান অনুব্রত। আগামী বছর যাতে এই মিলন মেলা আরও বড় আকারে হয়, তার ভার সুনীলের উপর দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।’

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের পলাশডিহা গ্রামের মাঠে আদিবাসী মিলন মেলা ২৫ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এবং চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এদিনের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডল ও সুনীল সোরেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ স্থানীয় কাউন্সিলাররা। তবে আদিবাসীদের মন জয় করার চেষ্টায় এবং দেউচা-পাচামি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করতেই অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম থেকে দুর্গাপুরে এসে এই মেলায় যোগ দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।