বুধবার সকালে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হল দার্জিলিঙয়ে, শহর ভরে উঠল দুধ-সাদা বরফে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষলগ্নে বড় উপহার দার্জিলিংে! বুধবার সকালে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হল দার্জিলিঙয়ে। সান্দাকফু, টাইগার হিলের পাশাপাশি ঘুম, বাতাসিয়া লুপ সহ একেবারে দার্জিলিং শহর ভরে উঠল দুধ-সাদা বরফে। প্রায় ১০ বছর পর একেবারে দার্জিলিং শহরে এরকম তুষারপাত হল। স্বভাবতই খুশির হাওয়া পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী মহলে।

    বড়দিন ও বর্ষবরণের মরশুমে দার্জিলিং সহ পাহাড়ে তুষারপাত হতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস সান্দাকফুতে আগেই মিলে গিয়েছে। গত সপ্তাহে কালিম্পং জেলার রিশপও মরশুমের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী হয়। গাছপালা থেকে রাস্তাঘাট ভরে ওঠে ঝুরো-ঝুরো শ্বেতশুভ্র বরফে। আক্ষেপে ছিল দার্জিলিং। তুষারপাতের সাক্ষী হতে দার্জিলিংে আগত পর্যটকেরাও পাড়ি দিচ্ছিলেন রিশপ সহ কালিম্পংয়ের বিভিন্ন গ্রামে। ফলে হতাশায় ভুগছিলেন দার্জিলিঙয়ের পর্যটক থেকে ব্যবসায়ীরা। অবশেষে তাঁদের সেই হতাশা ঘুচল। বছর শেষ হওয়ার আগেই একেবারে দার্জিলিং শহরে তুষারপাত হল।

    জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাত থেকেই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ের সর্বত্র ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর ভোরের আলো ফুটতেই সন্দাকফু, টাইগার হিল সহ ধুলোর মতো গুঁড়ো-গুঁড়ো বরফ পড়তে শুরু করে একেবারে দার্জিলিং শহরে। ঘুম, বাতাসিয়া লুপ সহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয় মরশুমের প্রথম তুষারপাত। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা বরফে ভরে যায় শহরের রাস্তাঘাট। তারপর বেলা বাড়লেও তুষারপাত বন্ধ হয়নি। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০ বছর পর এরকম তুষারপাতের সাক্ষী হল দার্জিলিং শহরে। স্বভাবতই খুশির হাওয়া পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী মহলে।

    বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষ্যে এই সময়ে এমনিতেই দার্জিলিং, কালিম্পং সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে পর্যটন ব্যবসার ভরা মরশুম। দার্জিলিংে পর্যটকদের ভিড় যথেষ্ট। এর উপর একেবারে শহরে তুষারপাত স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের কাছে উপরি পাওনা। এদিন বাতাসিয়া লুপ সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যেও ছাতা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুষারপাতের মজা নিতে দেখা যায় পর্যটকদের। আবার বরফের ঢেলা হাতে নিয়ে ছোঁড়াছুঁড়ি খেলতে শুরু করে খুদেরা।

    আগামী কয়েকদিন জেলায় শীতের প্রকোপ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তুষারপাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। ফলে এবার তুষারপাতের টানে দার্জিলিঙয়ে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সবমিলিয়ে, এখন কালিম্পঙ থেকে দার্জিলিং সহ সমগ্র পাহাড়ে খুশির হাওয়া। অন্যদিকে, অত্যধিক তুষারপাতের জেরে এদিন থেকে উত্তর সিকিমের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী। ভুটানের থিম্পুতেও এদিন ব্যাপক তুষারপাত হয়েছে।