শান্তিনিকেতন গোয়ালপাড়া তনয়েন্দ্র বিদ্যালয়ের ছাত্রী পারমিতা আজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাশিয়ার মস্কোতে

নিশির কুমার হাজরা,শান্তিনিকেতন : একেবারে ঘরের মেয়ে যখন সেই প্রান্তিক স্টেশন থেকে বেড়িয়ে এক সময় ছিল ধূ ধূ মাঠ। তারপর কোপায়ের তীরে ছোট্ট গ্রাম গোয়ালপাড়া বরজদুলাল ব্যানার্জির বাড়ি যেখানে। সেই গ্রামের মেয়ে পারমিতা ভট্টাচার্য আজ#বিশ্ব_চ্যাম্পিয়ন। TAFISA WORLD CHAMPIONSHIP এ ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে আমাদের ঘরের মেয়ে এখন রাশিয়ার মস্কোতে। সেখানে অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে লড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমাদের #পারমিতা। গোয়ালপাড়ার মতো একটি গ্রাম থেকে উঠে এসেছে এই রত্ন। বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী পারমিতাকে সোনার মেয়ে বললে অত্যুক্তি হয়না একেবারেই।এভাবেই এগিয়ে চল বাবু। আমরা সবাই তোর সঙ্গে আছি। অনেক অনেক অনেক ভালবাসা, শুভকামনা শান্তিনিকেতনের দেবষমিতা চ্যাটার্জি।অনেক অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা পারমিতাকে। ক্রীড়াজগতে সাফল্যের পথ অনেকটাই সে অতিক্রম করেছে। ধন‍্যি মেয়ে ,ধন্য গোয়ালপাড়া গ্রাম! ধন‍্য আজ বোলপুর, ধন‍্য বা‍ংলা, ধন‌্য ভারতবর্ষ, ধন‍্য তোমার পিতা মাতা যাদের সহযোগিতা ছাড়া পারমিতা এতটা পথ অতিক্রম সম্ভব হত না। আমি ক্ষমাপ্রার্থী আর একজনের নাম স্মরন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে না পারার জন‍্য। উনি হলেন পরম শ্রদ্ধেয় স‍্যর, কোচ, ট্রেনার যাই বলি না কেন, উনি। যিনি একজন সাধারন ছাত্রীকে আর পাঁচজনের থেকে অসাধারন বানিয়েছেন।

    সমাজে নারীরা যে কোন অংশে কম না তা তিনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। , তাই ওনার মত প্রশিক্ষককে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম। একজন প্রশিক্ষকের বর প্রাপ্তি হল তাঁর ছাত্র বা ছাত্রীর সাফল্যতা অর্জন। বাবা মার থেকে তিনি কোন অংশে কম না। একজন কৃতি স্টুডেন্ট বানাতে শিক্ষকের অবদান অপরিসীম। শুনেছি রাশিয়ার টুর্নামেন্টে পারমিতাকে পাঠানোর জন‍্য, অনেক কিছুই করেছেন, কিন্তু হায়! মেডেল পাওয়ার 24-36 ঘন্টা পার হয়ে গেলেও ঐ ট্রনারের প্রতি কোন কৃতজ্ঞতা, শুভেচ্ছা বা নাম উচ্চারণ পর্যন্ত হল না। যেখানে ট্রেনার(কোচ) ছাত্রীর সাফল‍্যে অস্রুসজল। এটা আমার কাছে খুব কষ্ট লাগার মতো একপ্রকার আনন্দ।জানালেন কৃষ্ণেনদু পরেল।