|
---|
হামিম হোসেন মণ্ডল, বহরমপুর: পৃথিবীতে একটিই ধর্ম থাকুক, সেটি ‘মানবধর্ম’। মনেপ্রাণে এমনটাই চান বহরমপুরের ৫১ বছর বয়সী এক ভদ্রলোক। তিনি রোগা পাতলা চেহারার অতি বিনয়ী ও নম্র স্বভাবের মানুষ। নাম তাঁর সৌমেন্দু লাহিড়ী। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী, মূলত বিনিয়োগকারী। আর নেশায় একজন সুনামী গীটারিস্ট। লাহিড়ী পরিবারের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যে পিতা সঙ্গীতজ্ঞ অমলেন্দু লাহিড়ী ও মাতা ঊষা লাহিড়ীর একমাত্র পুত্র হিসেবে তাঁর বেড়ে ওঠা। স্বভাবত শৈশব থেকেই তাঁর মধ্যে সংগীত ও কবিতার প্রতি এক গভীর অনুরাগ পরিলক্ষিত হয়।
১৯৯৪ সালে বহরমপুর শহরে ‘সুর পিয়াসী মিউজিক একাডেমি’ নামে একটি স্প্যানিশ গীটার বাদ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ছাত্র-ছাত্রী এখন ছড়িয়ে। পাশাপাশি ওখানে ও কবিতা চর্চার পরিমণ্ডলও গড়েছেন তিনি। তিনি বেশ ভালো কবিতাও লিখছেন। তাঁর রচিত কবিতা ‘আপনজন’, ‘আনন্দ বাংলা’ পত্রিকার পাশাপাশি ‘অনুভূতির কথায়’, ‘মুর্শিদাবাদ বার্তা’, ‘মুর্শিদাবাদ আরশি’ সহ বেশ কিছু সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সবঠিকঠাক চললে মে মাসেই তাঁর একটি তিন ফর্মার একক কাব্যগ্রন্থ ‘পৃথ্বী পদ্যময়’ প্রকাশ পেতে চলেছে। ইতিমধ্যে একক কাব্যগ্রন্থ ‘সনম’ এবং ‘রামধনু’ প্রকাশিত হয়েছে। সাম্যবাদে বিশ্বাসী এই কবির কলম চললে তা দলিত, নিপীড়িত, শোষিত মানুষের জন্য চলে। তিনি চান এই পৃথিবী শোষণ মুক্ত হোক এবং ধর্মের নামে সকল হানাহানি, ভেদাভেদ ঘুচে গিয়ে সারা পৃথিবীতে একটিইমাত্র ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হোক। সেই ধর্মের নাম ‘মানবধর্ম’। ২০০২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদ থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদ পত্রিকায় তাঁর রচিত কবিতা প্রথম প্রকাশ পেয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায়, ২০২১ সালে প্রথম ‘অরঙ্গাবাদ বইমেলা’য় তাঁকে উদ্বোধক করা হয়েছিল। বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা তাঁর ঝুলিতে এসেছে। এসবেরমধ্যে তাঁর কাছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল তাঁর কবিতা এবং সংগীত জীবনের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর পাঠানো একটি ইমেলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে, ডাক মার্ফত প্রাপ্ত বাংলার তদানিন্তন রাজ্যপাল শ্রী কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপনপত্র।