H1B Visa ফতোয়াতে স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের বিরাট ধাক্কা দিল আমেরিকা (US)। যাঁরা ভালো চাকরির জন্যে মার্কিন মুলুকের দিকে তাকিয়ে থাকতেন এবার তাঁদের আশায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার স্বনিযুক্তি সংস্থাগুলো যাতে চাইলেই যখন তখন বিদেশি কর্মীদের নিজের সংস্থায় নিয়োগ করতে না পারে তাই এইচ -১ বি ভিসার মারফত নিয়োগে (H1B Visa Holders) নিষেধাজ্ঞা জারি করে নয়া নির্দেশে স্বাক্ষর করলেন তিনি (Donald Trump)। গত ২৩ জুন ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এই ভিসা (H1B Visa) স্থগিত করার কথা ঘোষণা করে। আসলে এই বছরটি হলো আমেরিকার নির্বাচনী বছর। তাই বিদেশি কর্মীদের আমেরিকার কাজের বাজার দখল থেকে বিরত রেখে আসলে মার্কিনিদের মন জিততে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    https://twitter.com/MANAV_ITECH/status/1290734087846547456?s=19

    ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা এই এইচ -১ বি ভিসার মাধ্যমে মার্কিন সংস্থাগুলোতে কাজে যোগ দিতে পারতেন, তাই এটি বাতিল হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারত ও চিনের মতো দেশগুলি থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার কর্মচারী নিয়োগের জন্য এই ভিসার উপরেই নির্ভর করে।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল সংস্থাগুলোতে এইচ-১ বি ভিসাধারীদের নিয়োগের বিরুদ্ধে নয়া নির্দেশে স্বাক্ষর করার আগে হোয়াইট হাউসের ওভাল কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “যাতে আমেরিকানরাই মার্কিন মুলুকে ভালোভাবে বাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য আজ আমি একটি নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করছি।”
    বিদেশ থেকে সস্তায় কর্মীদের নিয়ে এসে নিয়োগ করে প্রকারান্তরে মার্কিন নাগরিকদের কাজের বাজার খারাপ করতে আর দেবে না তাঁর প্রশাসন, সাফ জানিয়ে দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

    হোয়াইট হাউসের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়োগকর্তাদের এইচ -১ বি ভিসার অপব্যবহার রুখবে। যোগ্য মার্কিন কর্মীদের বদলে বিদেশ থেকে সস্তায় কর্মী নিয়ে আসার জন্য মোটেই এই ভিসার অনুমোদন করা হয়নি, স্পষ্ট জানায় তাঁরা। প্রসঙ্গত এইচ- ১ বি ভিসার মাধ্যমে ভারত থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়োগ করে কাজ চালাতো মার্কিন সংস্থাগুলো, ফলে বহু আমেরিকান যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাজ পেতেন না।

    তবে ট্রাম্প একথাও জানিয়েছেন যে তিনি খুব শিগগির ইমিগ্রেশন বিল নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন। তিনি বলেন,
    “এই ইমিগ্রেশন পুরোপুরি যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে, ফলে এটা যেকোনও শ্রমিকের পক্ষেই দুর্দান্ত সুযোগ হবে। যাঁরা আমাদের দেশে এসে কাজ করতে চান তাঁদের পক্ষেও এটি দুর্দান্ত হবে, তবে আমাদের দেশে আইনীভাবে থাকতে হবে এবং দেশকে ভালবাসতে হবে।”