ফের একবার ডমিনোজ় সার্ভার থেকে কোটি কোটি ভারতীয় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার পর বিখ্যাত পিৎজা প্রস্তুতকারী সংস্থা ডমিনোজ়। ফের একবার সংস্থার সার্ভার থেকে কোটি কোটি ভারতীয় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। যদিও মাস খানেক আগেই এই সাইবার হানার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে তখনও এর ব্যাপকতা বোঝা যায়নি। শনিবার একটি সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, ডমিনোজ় ইন্ডিয়ার সার্ভার থেকে ১৮ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় তথ্য প্রথমে ফাঁস হয়েছে, এবং পরে তা বিক্রি হয়ে গিয়েছে ডার্ক ওয়েবে।

    গত মাসের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ডমিনোজ়ের কমপক্ষে ১০ লক্ষ গ্রাহক এবং কর্মীর ক্রেডিট কার্ডের বিশদ তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ যে দাবি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাজশেখর রাজাহারিয়া করেছেন তাতে স্পষ্ট, গতবারের ঘটনা কেবলই হিমশৈলের চূড়া মাত্র ছিল। কেননা নতুন করে জানা গিয়েছে, এর ফলে ১৮ কোটি গ্রাহক এবং সংস্থার কর্মচারীদেরও ফোন নম্বর, ই-মেল আইডি, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য এবং বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, সেই পুরো তথ্যই বর্তমানে ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার দুনিয়া হিসেবে খ্যাত ডার্ক ওয়েবে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

    কী এই ডার্ক ওয়েব?

    আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি তা মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম, সারফেস ওয়েব। দ্বিতীয়, ডিপ ওয়েব এবং তৃতীয় ডার্ক ওয়েব। উঠতে বসতে আমরা যে গুগল, ফেসবুক বা সাধারণ ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকি তার জন্য সারফেস ওয়েব ব্যবহার করা হয়। ডিপ ওয়েব হচ্ছে এমন একপ্রকার ইন্টারনেট ব্যবস্থা যার অ্যাক্সেস পেতে আপনাকে নির্দিষ্টভাবে কিছু সার্ভারের ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত কোনও দেশের গোয়েন্দা, সরকার বা সেনাবাহিনী গোপন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ডিপ ওয়েব ব্যবহার করে থাকে।

    এ বার চলে আসা যাক ডার্ক ওয়েবের প্রসঙ্গে। ইন্টারনেট জগতে এই ডার্ক ওয়েবকে মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য বলা হয়ে থাকে। কোনও সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে এই ওয়েবের তথ্য পাওয়া যায় না। এখানকার সমস্ত তথ্য এনক্রিপটেড অবস্থায় থাকে। বিশেষ কিছু ব্রাউসারের ব্যবহার ছাড়া ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করার কল্পনা বালির স্তুপে পোস্তর দানা খোঁজার মতো কঠিন। এই ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে ড্রাগের চালান, স্মাগলিং, হ্যাকিংয়ের তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত গোপন বিষয় আদান প্রদান হয়ে থাকে। এই জগৎ সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার প্রায় বাইরেই বলা চলে।