|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃষ্টির দেখা নেই। বেলা বাড়তেই সূর্যের প্রখর রোদে কাহিল হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। গরমে হাঁসফাঁস করছে পশুপাখিও। তবে এইটুকুই স্বস্তি যে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক ছিল। বলা যায়, বিদ্যুৎ পরিষেবা আগের তুলনায় এখন অনেক উন্নত। তবে বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত হওয়ার কারণে সমস্যায় পরেছেন হাত পাখার ব্যবসায়ীরা। একসময় গ্রীষ্মকালে সবথেকে বেশি চাহিদা থাকতো তাল পাতার তৈরি হাত পাখার। যদিও পরবর্তী সময়ে তালপাতার পরিবর্তে প্লাস্টিকের পাখা জায়গা করে নিয়েছে। এটি ওজনেও হালকা, দামেও কম। কিন্তু এখন প্রায় কোন প্রকার পাখাই খুব একটা বেশি বিক্রি হচ্ছে না বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত হওয়ার কারণে লোডশেডিং প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই চলে বৈদ্যুতিক পাখা। সেই কারণে চাহিদা কমেছে হাত পাখার।একজন হাতপাখা বিক্রেতা জানান, আগে এমনও দিন গেছে ১০০ টি করে তালপাতার হাতপাখা বিক্রি হতো আর এখন সারাদিনে ১০ টিও বিক্রি হয় না। তার কারণ, বর্তমানে লোডশেডিং কমে যাওয়ার ফলে হাতপাখার চাহিদাও কমে গিয়েছে অনেকটাই। গ্রামে গঞ্জের প্রায় প্রতিটি ঘরেই পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ, সেই কারণে কমে গিয়েছে হাতপাখার চাহিদাও। জানা যায়, যারা এই হাতপাখাগুলি তৈরি করে তাদের অবস্থাও খুবই শোচনীয়। বর্তমানে হাতপাখা শিল্পটি প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় পাখা শিল্প বন্ধ হয়েও গিয়েছে।মূলত এই হাতপাখাগুলি এখন নিয়ে আসা হয় মুর্শিদাবাদ, বেলডাঙ্গা, কৃষ্ণনগর হাট থেকে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ক্ষুদ্র শিল্প বিদ্যুৎ সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রভাস দাস জানান, “বর্তমানে বৈদ্যুতিক পরিষেবা খুবই ভালো, যার কারণে লোডশেডিং হয় না বললেই চলে। দিনে এক দুবার লোডশেডিং হলেও মিনিট দুয়েকের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে *আসে।” চাহিদা কম, বিকোচ্ছেনা হাতপাখা। আর সেই কারণেই* সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে হাতপাখা ব্যবসায়ীদের।