|
---|
বীরভূম: আদালতের নির্দেশের পরেও খোলা হয়নি হস্টেল। বন্ধ রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় অফিসও। এরই মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ১১ মার্চ থেকে অফলাইনে বিশ্বভারতীর একাধিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। ছাত্রছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাম, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনগুলির পাশাপাশি এবার বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-ও আন্দোলনে নামতে চলেছে।
ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ হস্টেলের ব্যবস্থা না করে আগামী ১১ মার্চ থেকে পরপর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর বিভাগে অফলাইনে পরীক্ষা হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু কোনও হস্টেল খোলা হয়নি। ছাত্রছাত্রীরা জানে না তারা কোথায় থাকবে। ১১তারিখ পরীক্ষা শুরু হলে হাতে আর মাত্র একটা দিন। ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দিয়েছে, ভবনে ভবনে পরীক্ষা বয়কট করা হবে। বিভিন্ন ভবনের সামনে মানববন্ধন তৈরি করা হবে যাতে কেউ পরীক্ষা দিতে বাধা না দিতে পারে। এর পাশপাশি আন্দোলন জোরদার করা হবে।
শান্তিনিকেতন থানা আদালতের নির্দেশ অনুসারে ২ জন পুলিশকর্মী দিতে চেয়ে বুধবার বিশ্বভারতীকে চিঠি দেয়। তবে তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তালা ভেঙে বিশ্বভারতীর বন্ধ হস্টেল সচল করতে হবে মঙ্গলবারই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ঘর খোলার সময় উপস্থিত থাকার কথা বিশ্বভারতীর প্রশাসক কমিটির সদস্যদের। পাশাপাশি থাকার কথা পড়ুয়াদের দুই প্রতিনিধি এবং দু’জন কনস্টেবলেরও। পরীক্ষার নির্ঘণ্ট অনুসারে যে সব পড়ুয়ার আগে পরীক্ষা রয়েছে তাঁদের আগে ঘর বরাদ্দ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। কিন্তু সেই নির্দেশ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মানছে না বলে অভিযোগ তুলল ছাত্রছাত্রীদের একাধিক সংগঠন।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, খোলা না হলেও বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি হস্টেল পরিদর্শনে যেতে পারে বিশ্বভারতী কর্মসচিব আশিস আগরওয়ালের নেতৃত্ব গঠিত ৬ সদস্যের কমিটি। কিন্তু কোনও পুলিশকর্মী বা ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে যাওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে বাম ছাত্র নেতা শুভ নাথ জানান “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ মানছে না। হস্টেল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে বিভিন্ন ভবনে গিয়ে পঠনপাঠন বন্ধ করে দেবে। পরীক্ষা বয়কট করা হবে।” এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
ছাত্রছাত্রীদের পক্ষের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ বলেন “হাই কোর্টের নির্দেশ মানছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার কয়েক ঘন্টা আগে হস্টেল খোলা হলে ছাত্রছাত্রীরা থাকবে কোথায়? তার উপর কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আদালতে পুরো বিষয়টি জানানো হবে।”