|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়া বিল (Howrah Bill) নিয়ে ফের সরব স্পিকার। হাওড়া বিল নিয়ে ফের রাজ্যপালকে তোপ দাগলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী মানা উচিত মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের। রাজীব গান্ধি হত্যা মামলার এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। যদিও এক্ষেত্রে রাজ্যপালের কাছে বিল পাঠানো হলেও তিনি বিধানসভাকে তা জানাননি। উনি বারবার বিধানসভায় আসেন। উনি এসে বলেন কোনও বিল বাকি নেই। যদিও হাওড়া বিল এখনও আটকে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক পরিষেবা।রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে ৬টি পুরনিগমেও ভোট সম্পন্ন হয়েছে। শুধুমাত্র হাওড়া পুরনিগম ও বালি পুরসভায় ভোট হয়নি। বালি বিলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সই না করায় সেখানে নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২১ সালের প্রথম দিকেই ফের বালিকে হাওড়া থেকে ভাগ করা হবে এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল।অবশেষে বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল ২০২১ পাশ করানো হয়। কিন্তু, সেই বিলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল সই না করায় হাওড়া পুরনিগম ও বালি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ২০১৮ সাল থেকে আর ভোট হয়নি হাওড়া পুরসভায়। এই সময়েই বালিকে হাওড়া থেকে পৃথক করার দাবিও উঠেছিল। সেই থেকে হাওড়ার পুর পরিষেবা পরিচালনার দায়িত্বে পুরপ্রশাসক বোর্ড।তাই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হল ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১’। এর ফলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ফের ৫০-এ দাঁড়ায়। বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরে হাওড়া পুরসভার যে অংশ পড়ে রইল, তার পুনর্বিন্যাস করেই ৫০টি ওয়ার্ড হয়।হাওড়া পুরসভায় আগে ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫টি ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন হাওড়ার ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৬টি। কিন্তু এখন হাওড়া ও বালি দু’টি পৃথক পুরসভা। এবং দু’টি পুরসভাতেই ভোট বকেয়া পড়ে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, হাওড়া বিল অত্যন্ত অন্যায্য ভাবে আটকে রেখেছেন। স্পিকার যথাযথ কথা বলেছেন। এই সরকারকে রাজ্যপাল মসৃণ ভাবে কাজ করতে দিচ্ছেন না। বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল এমন কিছু জিনিসে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছেন যাতে মানুষের পরিষেবা ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। কর্তব্য, দায়িত্ব বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন৷ রাজ্য সরকার ও বিধানসভা সংবিধান মেনে যা অনুমোদনের জন্য পাঠাচ্ছেন সেটা যেন যথাযথ হয় ৷