|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর আরো এক স্বপ্নপূরণ হল নগর উন্নয়নের। একথা তিনি নিজেই জানান সাংবাদিকদের। কিন্তু কী তার স্বপ্ন যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে? মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম চেয়েছিলেন, যাতে তিলোত্তমা কলকাতা যানজট মুক্ত হয় এবং শহরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ব্রিজগুলিতে চাপ কম পড়ে।
কলকাতার যানজট সম্পর্কে অল্প বিস্তর আমরা সবাই অবগত। অফিস টাইমে স্ট্যান্ড রোড কিংবা গড়িয়াহাটের জ্যাম থেকে বহুদিন ধরে শহরবাসীকে সুরাহা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে নগর উন্নয়ন দফতর। মন্ত্রীর মতে, শহরে বড় পণ্যবাহী গাড়িগুলি যেমন বড় বড় লরি ট্রলার, সেগুলিকে আসা বন্ধ করতে হবে। পণ্যবাহী গাড়িগুলির অতিরিক্ত ওজনের ফলে যেমন চাপ তৈরি করছে শহরের ঐতিহ্যবাহী সেতুগুলিতে, তেমনই রাস্তায় এদের ফলে তৈরি হচ্ছে বেশি যানজট।কিন্তু এই পণ্যবাহী গাড়িগুলি যদি শহরে প্রবেশ না করে তাহলে শহরের শিল্প থেকে খাদ্য সরবরাহ মিলবে কীভাবে? তার উত্তরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, হুগলি ডানকুনি থেকে তৈরি হয়েছে লজিস্টিক হাব। লজিস্টিক হাবগুলিতে বড় গাড়ি পণ্য নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে ছোট ছোট গাড়িতে করে সেই সমস্ত পণ্যদ্রব্য পৌঁছে যাবে কলকাতায়। বড় গাড়ির বদলে ছোট গাড়ি হওয়াতে যেমন রাস্তার উপর ও শহরের ঐতিহ্যবাহী সেতুগুলোর উপরে চাপ কম হবে, তেমনই যানজট ও দূষণমুক্ত হবে তিলোত্তমা কলকাতা।মিত্র। সেইমতো ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। রাজ্যে যে ৫ টি লজিস্টিক হাব হওয়ার কথা ছিল সেগুলি হল শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, মালদহ, তাজপুর ও হুগলি।
পাঁচটি লজিস্টিক হাব আলাদা আলাদা কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে শিলিগুড়িতে তৈরি হবে চা-এর হাব। দুর্গাপুরে রাসায়নিক দ্রব্যের, তাজপুর সম্ভবত পেট্রো পণ্যের ও হুগলির ডানকুনিতে সবজি ও খাদ্য দ্রব্যের লজিস্টিক হবে। সেই মতই বুধবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ডানকুনির এই হাব উদ্বোধন করেন। এদিন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।