অধীর চৌধুরীকে তিন লক্ষ ষাট হাজার ভোটে হারাব মন্তব্য হুমায়ুন কবীরের, শোরগোল রাজনৈতিক মহলে

জৈদুল সেখ, সালার: আগামী লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে তিন লক্ষ ষাট হাজার ভোটে হারানোর বার্তা দিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন একদা অধীরের রাজনৈতিক ছায়াসঙ্গী বর্তমানে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
মুর্শিদাবাদের সালারে ভরতপুর বিধানসভার বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও মুর্শিদাবাদের দক্ষিণ যুব-তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আনারুল ইসলামকে গান্ধী জয়ন্তীতে সংবর্ধনা দেওয়া এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়েছিল। ভরতপুর- দুই তথা সালার ব্লকের সাত অঞ্চল প্রধানের পক্ষ থেকে। এক‌টি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে গান্ধী জয়ন্তী উদযাপন করার পাশাপাশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়েছিল। এই শিবিরে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চান্ন জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন।

    উল্লেখ্য গতকাল শুক্রবার সালারের বিদ্রোহী সাত অঞ্চল প্রধান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভুল স্বীকার করে বলেন ” ভুল করেছিলেন, তাই সংশোধন করলেন, বিধায়কের সাথেই আছেন তারা”- সাত প্রধান একজোট হয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে না জেনে ভুল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন দলেরই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা সাত পঞ্চায়েত প্রধান। মাস দুয়েক আগের এক ঘটনা নিয়ে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের নামে নালিশ জমা পড়ে। গতকাল সেই ঘটনার অবসান হয়েছে।

    শনিবার গান্ধী জয়ন্তীতে সম্বর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক হুমায়ুন কবির একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির হার নিশ্চিত। অন্যদিকে বহরমপুর লোকসভায় অধীর চৌধুরীকে কটাক্ষ করে বলেন “আমাদের নেতা ( অভিষেক) অধীরকে তিন লক্ষ ভোটে হারানোর কথা বলেছেন আর আমি বলব কেবলমাত্র তিন লক্ষ নয়, ২০১৪ সালে চৌদ্দ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিন লক্ষ ছাপান্ন হাজার সবচেয়ে বেশি মার্জিন রেখে অধীর চৌধুরী নির্বাচন হয়েছিল কিন্তু ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীকে তিন লক্ষ ষাট হাজার ভোটে হারাব। ”

    এই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের অনেক রাজনীতির নেতা এমন মন্তব্য কে প্রাধান্য না দিলেও কেউ কেউ বলছেন অধীর এক সময়ে মুর্শিদাবাদের রবীহুড নামে পরিচিত থাকলেও গত বিধানসভা থেকেই তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।