মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিজেপিকে দুরমুস করবো, ঝাড়গ্রামের জনসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, ঝাড়গ্রাম: কৃষক বিরোধী, মানুষ মারা কৃষি বিল প্রতাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে জনসভায় উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের একবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সভায় দাঁড়িয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই বিজেপিকে দুরমুস করার ডাক দিলেন।

    রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহলে লড়াই এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলবাসীকে সম্মান জানিয়েছেন , উন্নয়ন করেছেন। জল জঙ্গল জমির অধিকার কে কেড়ে নেয় দেখবো কত বড় বাপের বেটা। জঙ্গলমহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নতি ঘটিয়েছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন জঙ্গলমহল বাসির চোখ খুলে দিয়েছেন।

    শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্নে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন কে কি করছে সেটা জনসভায় তার বলার কথা নয়। তার দল তৃণমূল কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যখন দুয়ারে সরকার পালন হচ্ছে তখন শুভেন্দুর নাম না করে বলেন, অন্য কেউ অন্য কাজে রয়েছেন এ বিষয়ে আমি কি বলবো।
    যাদের যা পাওয়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি কিছু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে সিকিউরিটি না নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এতে আমার বলার কী আছে।
    দল ছাড়লে কি প্রভাব পড়বে প্রশ্নে বলেন,
    ব্যক্তির কোনো প্রভাব নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বেই দল সরকার চলবে।

    এছাড়াও তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন.
    মনকি বাত নয়, ধ্বংস কি বাত ওটা। ২৮২ টি সাওতালি শিক্ষকের নিয়োগ পদ্ধতি চলছে। মূলস্রোতে ফিরিয়ে চাকরির ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। কৃষকদের জন্য প্রিমিয়াম সরকার দিচ্ছে, প্রান্তিক চাষিকে ২৫০০ টাকা করেদুবার দেওয়া হচ্ছে। তখন এই বিল এনে কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পেটে লাথ মারার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিছু অভিযোগ থাকতে পারে। তাই সরকার ঠান্ডা ঘড়ে না থেকে দুয়ারে চলে এসেছে। ১০০দিনে কাজে ক্ষোভ থাকলে সরাসরি সামনে বসে সমাধান কারা হচ্ছে। সরকার দুয়ারে চলে এসেছে। বঙ্গধ্বনী প্রোগ্রামে কোভিড, অামফান সহ একাধিক অতিমারিতে পাশে থেকেছে সরকার। সেটা তুলে ধরা হচ্ছে। এদিনের জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মত।

    এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম দুলাল মুর্মু , চূড়ামণি মাহাতো, শ্রীকান্ত মাহাতো, রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেস সহ-সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা সহ অনেক নেতৃত্ববৃন্দ