৪ই জানুয়ারি বৈঠকে দাবি না মিটলে, প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর নিয়ে প্যারেড হুঁশিয়ারি কৃষকদের

নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: ৪ই জানুয়ারি বৈঠকে দাবি পূরণ না হলে এবার রাজধানীর বুকে ট্রাক্টর প্যারেড করার হুঁশিয়ারি দিলেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। শনিবার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লিতে প্যারেড করবেন বিক্ষোভকারীরা। শনিবার একথা জনিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদস্যরা। এদিন কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতা যোগেন্দ্র যাদব কৃষি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরি করেন। ২০২০ পেরিয়ে ২০২১ সাল শুরু হয়েছে। নতুন বছরে পদার্পণ করলেও এখনও মেলেনি কৃষকদের সমস্যার সমাধান সূত্র। এদিন কৃষকদের ৭ জনের প্রতিনিধি দল সাংবাদিক বৈঠক করে। তাঁরা জানান, ৬ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য নতুন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামব। রাজভবনের সামনে হবে পিকেটিং। ২৬ জানুয়ারির ট্রাক্টর মার্চের মহড়াও হবে এই ১৫ দিন। রাস্তা আটকে দিল্লির ৬ সীমান্তে এই মহড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, আগামী ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হবে কৃষকদের। ৩ কৃষি সংক্রান্ত মামলায় ৫ জানুয়ারি শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। সপ্তম দফার বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্রর জন্য অপেক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। যোগেন্দ্র যাদব বলেন, আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গিয়েছে। ২৬ জানুয়ারির মধ্যে সব দাবি না মিটলে আমরা দিল্লি ঢুকতে শুরু করব। সরকার বলছে ৫০ শতাংশ দাবি পূরণ হয়েছে। কিন্তু আমাদের সবথেকে বড় দাবি পূরণ করার দিকে এগোচ্ছে না সরকার। নয়া ৩ কৃষি আইন বড় সংস্থা এবং বিশ্বব্যাপী সুপারমার্কেট চেন কৃষকদের থেকে সরাসরি ফসল কিনতে পারবে। কৃষকদের বক্তব্য, এতে বাড়বাড়ন্ত হবে বড় সংস্থাগুলির। সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না। বর্ষীয়ান কৃষক নেতা দর্শন পাল বলেন, দাবি না মিটলে প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ট্রাক্টর দিল্লিতে প্রবেশ করবে। অম্বানি এবং আদানি গোষ্ঠীর পণ্যবাহী গাড়ি আটকে দেওয়া হবে ।ইচ্ছাকৃতভাবে এই ৩টি আইন প্রত্যাহার করছে না সরকার। অন্যতম আন্দোলনকারী বলবীর সিংহ রাজেওয়াল বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আইন প্রত্যাহার করছে না সরকার। আমাদের আন্দোলন নষ্ট করার সবরকম চেষ্টা করেছে ওরা। স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য আমাদের মাওবাদী থেকে খলিস্তানি তকমা দেওয়া হয়েছে।