|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- গদি হারাতে পারেন ইমরান খান (Imran Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতি ঘিরে টালমাটাল পাকিস্তানের সংসদ চত্বর। বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামাবাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করল বিরোধী দলের বহু পাক (Pakistan) সাংসদদের। পুলিশের সঙ্গে বিরোধীদের রীতিমতো হাতাহাতি করতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল।ঠিক কী হয়েছিল? আসলে প্রধান বিরোধী দল জামিয়াত-এ-ইসলাম তথা জেইউআইএফের সাংসদদের অপহরণ করাতে পারেন ইমরান, এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় সংসদ চত্বরে প্রবেশ করে তাঁর দলীয় সাংসদদের ‘সুরক্ষা’ দিতেই এগিয়ে আসেন দলের এক স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী আনসারুল ইসলাম। আর তখনই বেঁধে যায় শোরগোল। যদিও দলের প্রধান মৌলানা ফজলুরের দাবি, ওই বাহিনী নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যাতে তাঁদের দলীয় সাংসদদের কেউ অপহরণ না করতে পারেন। কিন্তু বিষয়টিকে ভালভাবে দেখছেন না পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ রশিদ। তিনি জানিয়েছেন ওই মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।এদিকে পুলিশ ও মার্শাল নামিয়ে সাংসদদের নিগ্রহ করা হয়েছে অভিযোগ বিরোধীদের। কেবল শারীরিক নিগ্রহই নয়, দলের ১৯ জনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেইউআইএফের দুই সাংসদ সালাহুদ্দিন আয়ুবি ও মৌলানা জামালউদ্দিনও। শুক্রবার সকাল থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের আরও দাবি, ইমরান খানের গদি হারানো যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা এই ধরনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।গত মঙ্গলবারই পাক সংসদে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়। যদিও সেই সময় স্পিকার কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েটেই প্রস্তাব জমা করা হয়। উল্লেখ্য, গত বারের মার্চেও ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তবে সেবার ১৭৮টি ভোট পেয়ে গদি হারাতে হারাতে বেঁচে যান ইমরান। প্রয়োজনীয় চেয়ে ৬টি ভোট বেশি পেয়েছিল তাঁর সরকার।