|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক ‘ বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ করে পাঁচ দফা দাবীতে ডেপুটেশন জমা দিল আদিবাসী তৃণমূল কমিটি। বুধবার মালদহের চাঁচল ২ নং ব্লকের গৌরহন্ড পঞ্চায়েত অফিসের মূল ফটকে আদিবাসী তৃণমূল কমিটির তরফে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। সরকারি প্রকল্পে বঞ্চিত ওই জিপি এলাকার শতাধিক আদিবাসী বধূ ঢাক ঢোল বাজিয়ে বিক্ষোভ করেন এদিন।
নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মালদা জেলা আদিবাসী তৃণমূল কমিটির সভাপতি চুনিয়া মুর্মু ও চাঁচল ২ নং ব্লক আদিবাসী তৃণমূল কমিটির সভাপতি ভাইয়া মুর্মু।
চুনিয়া মুর্মু অভিযোগ করে বলেন, এই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালন করে। এরা পঞ্চায়েত পরিচালনা করতে অক্ষম এবং একাধিক দূর্ণীতি নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। মূলত ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দূর্নীতি, বাংলা আবাস যোজনায়া কাটমানি নিচ্ছে এবং আবাস যোজনা তালিকা প্রকাশে পঞ্চায়েত প্রধান স্বজনপোষন করছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত এলাকার কাপশিয়া, গৌরহন্ড কলোনী মোড়ের রাস্তা সহ একাধিক রাস্তা কাচায় রয়েছে। যা দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এলাকার মানুষ পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানালেও কোনো সুরাহ হয়না। এলাকার মানুষের স্বার্থে ও দূর্নীতির প্রতিবাদে আজ পাঁচ দফা দাবীতে পঞ্চায়েত স্মারকলিপি প্রদান করছি বলে জানান তিনি। সমস্যার সূরাহা না হলে পরবর্তী বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।
বিক্ষোভে সামিল কাপশিয়া গ্রামের আদিবাসী বধূ, দুঃখী মাদ্দি,তুলসি হেব্রম সানখি হেব্রমরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটের অবস্থা কঙ্কাল সার। বার বার পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। এমনকি প্রকৃতদের আবাস তালিকায় নাম আসছে না। আসলে কাটমানির শিকার হতে হচছে বলে অভিযোগ তাদের।
এদিন বিক্ষোভে ডেপুটেশনে পরিস্থতি স্বাভাবিকভাবে রাখার জন্য মোতায়েন ছিল চাঁচল পুলিশ।
স্মারকলিপি গ্রহন করে গৌরহন্ড জিপির প্রধান পুস্পা ওরাও বলেন, আবাস যোজনা তালিকা আমরা প্রকাশ করিনা এবং ঘর পাওয়ার জন্য কাটমানি নিয়ে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে এলাকায় যেসব রাস্তা কাচা রয়েছে, জরুরি ভাবে দূর্গাপূজোরে আগে কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দেন। এছাড়াও পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচুর কাজ করেছেন তিনি বলে দাবী করে বলেন।