|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে দল ছেড়ে ছিলেন। কিন্তু ভোট মিটতে এবার বেসুরো প্রবীর ঘোষাল। সম্প্রতি তাঁর মাতৃবিয়োগ হয়েছে প্রবীরের। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক নেতামন্ত্রী তাঁর খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর মাতৃবিয়োগ এর খবরটুকুও জানেন না।
প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেছেন মাতৃবিয়োগের পর। খবর নিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। কিন্তু যে টেলিফোন আসার কথা আসেনি। ব্যক্তিগত ক্ষোভ জানিয়ে প্রবীর বলছেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস একটি পরিবার কারণ সেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্য কমবেশি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বিপদের দিনে। এমনকি খোঁজ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। অথচ দিলীপ ঘোষ -সহ অন্যান্য রাজ্য বিজেপি নেতারা বিষয়টি জানতেনই না। প্রবীরের মত, এতে বিজেপির বিষয়ে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে।
স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে প্রবীর বেসুরো। তাহলে কি তিনি এবার তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন ফিরে যেতে চাইছেন তাঁর পুরনো দলে? এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রবীর।
উল্লেখ্য বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার এই অভিযোগ প্রবীর ঘোষাল প্রথম করছেন না। ঘটনার সূত্রপাত মুকুল পুত্রকে দিয়ে। গত ১১ মে থেকে মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় হাসপাতলে ভর্তি থাকলেও কোনও বিজেপির নেতা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বা যোগাযোগ রাখেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন শুভ্রাংশু। বিজেপির টনক নড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছলে। তিনি যেতেই হাসপাতালে হাজির হন দিলীপ ঘোষ লকেট চট্টোপাধ্যায়রা।
এদিকে দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে হাজির না থেকে বার্তা দিয়ছেন সৌমিত্র খাঁও। উল্লেখ্যে এদের কেউই দল ছাড়ার কথা বলেননি প্রকাশ্যে। তবে কোথাও একটা যে তাল কাটছে তা চেপেও রাখেননি কেউ।