|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া পদে অভিষিক্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুবনেতা থেকে সরাসরি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হলেন অভিষেক। অর্থাৎ আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবেই তাঁকে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলতে আর কোন বাধা রইল না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অভিষেকের এই বিরাট উত্তরণে খুশি সকলেই। প্রত্যেকে বলছেন, অভিষেক তাঁর প্রাপ্য পেয়েছেন। পেয়েছেন কঠোর পরিশ্রমের ফল। উল্লেখ্য, অভিষেককে বড় পদ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল হল তৃণমূলে।
সবার নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর এই প্রথম দলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, প্রশান্ত কিশোররাও। সব মিলিয়ে মোট ৯ জেলায় সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। দলের রাজ্যসম্পাদক হলেন কুনাল ঘোষ। সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী করা হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। যুব তৃণমূলের সভাপতি হলেন সায়নী ঘোষ। অল ইন্ডিয়া আইএনটিটিইউসি-র প্রেসিডেন্ট হলেন দোলা সেন। আইটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতির পদ পেয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের কালচারাল প্রেসিডেন্ট পদে এলেন রাজ চক্রবর্তী। ক্ষেত মজুর সংগঠনের দায়িত্ব পেলেন পূর্ণেন্দু বসু।
আজকের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন।এক ব্যক্তি এক পদ নীতির কথাও বলেন তিনি। দলের নেতাদের প্রতি তাঁর বক্তব্য ছিল, মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন স্পষ্ট ভাবে করে দিয়ে বলেন, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া চলবে না, তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, কয়লা বালি পাচারে নাম জড়ানো চলবে না কোনও মতেই। পাশাপাশি তিনি এও মনে করান কোনও ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি লেখা চলবে না। উল্লেখ্য ভোট মিটতেই যাঁরা দলে ফেরার জন্য কাকুতি মিনতি করছেন, তাদের দলে ফেরানো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আপাতত তাঁর পাখির চোখ, দুর্নীতি মুক্ত উন্নততর তৃণমূল।