|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: কঠোর পরিশ্রম নির্বিকল্প। হাতেনাতে প্রমাণ পেলেন সায়নী ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ আসনে সায়নী পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু আত্মবিশ্বাস এতটুকুও টালল খায়নি। এবার পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে সায়নীকে যুব তৃনমূলের সভাপতির পদ দেওয়া হল। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সর্বভারতীয় নেতার স্তরে উন্নীত হলেন, তাঁর জায়গায় অভিষিক্ত হচ্ছেন তারুণ্যে ভরপুর সায়নী। “দায়িত্ব পেয়ে খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউজ১৮ বাংলাকে তিনি বললেন, মানুষের মধ্যে পৌঁছতে হবে। আমি মানুষের কাছে গিয়ে তার ফল পেয়েছি। আমাদের বড়দের পরামর্শ নিয়ে এগোতে হবে।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্য মর্যাদা পেয়েছেন এমনটাই মনে করছেন সায়নী। অভিষেকের ছেড়ে যাওয়া পদ পেয়ে কৃতজ্ঞ সায়নী।
শুধু সায়নীই নন এ দিন তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল সূচিত হতেই দেখা গেল যুব-মুখকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন দলনেত্রী। তিনি চাইছেন তরুণরা উঠে আসনু। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান সূচিত হয়েছে, মহাদায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া পদে অভিষিক্ত হয়ে তিনি এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অর্থাৎ এবার তাঁকে অনেক বড় প্রেক্ষিকে দেখা যাবে, দলকে গোটা দেশে পৌঁছে দিতে লড়তে হবে তাঁকে। সেক্ষেত্রে এক দশকেরও বেশি সময় তিনি যে ভাবে যুব তৃণমূলকে সামলেছিলেন তেমনই আত্মবিশ্বাসী মুখ চাই তৃণমূলের। মনে করা হচ্ছে, সায়নীকে বেছে নেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।
এ দিন একই ভাবে গুরুত্ব পেয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তীরাও। এদিন রাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের কালচারাল প্রেসিডেন্ট মনোনীত হলেন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আইটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতির পদ পেয়েছেন। সব মিলিয়ে ৯টি সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে তৃণমূলে। ভারসাম্য রাখা হয়েছে নবীন-প্রবীণে। এই রদবদলে স্পষ্ট দল ও প্রশাসনকে আলাদা করার চেষ্টা করা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিনের বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দেন দলের নেতাদের। তাঁঁর স্পষ্ট নির্দেশ, মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। তাঁর নিদান কোনও মন্ত্রী লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি মনে করিয়ে দেন, সামনে বন্যা আসছে। দুর্যোগের দিনে দলের নেতাদের রাস্তায় নেমে কাজ করার কথা বলেন তিনি। মমতার নির্দেশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলটপকা কথা লেখা যাবে না।