|
---|
আলম সেখ,নতুন গতি: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে দিল্লিতে CAA বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলো ডক্টর কাফিল খান, সেখানে তিনি বিক্ষোভকারীদের সামনে ভাষণ দিয়েছিলেন ওনার সেই ভাষণ উস্কানিমূলক ছিল বলে অভিযোগ দায়ের করে আলিঘর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ২৯ জানুয়ারি ওনাকে গ্রেফতার করা হয় সেই থেকেই জেলের মধ্যে আছেন ডক্টর কাফিল খান।
ডক্টর কাফিল খানের মামলায় আলিগড় জেলার একটি আদালত ১০ ফেব্রুয়ারি জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে তাকে মথুরা জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে, তিন দিন পরে তার বিরুদ্ধে NSA ( National Security act) লাগানো হয়। সেই থেকে ডক্টর কাফিল খানের মুক্তির দাবিতে একের পর এক জামিনের আবেদন করা হয়েছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট শুধু তারিখ পরিবর্তন করেছে।
১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টকে ১৫ দিনের মধ্যে ডাঃ খানের মুক্তি সম্পর্কিত একটি আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। প্রধান বিচারপতি এস এ ববদে এবং বিচারপতি এএস বোপান্না ও ভি রামসুব্রাহ্মণিয়ামের বেঞ্চ তার আবেদনের হাইকোর্টের সময়সীমা বেধে থাকার শুনানির জন্য খানের মা নুজহাত পেরুইনের করা আবেদনের শুনানি করছিলেন।
পিটিআই-এর খবরে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট এ বর্ধিতকরণ আদেশ এসেছে। আদেশে বলা হয়েছে, “ইউপি উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিবেদন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলিগড়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গভর্নর আনন্দীবেন প্যাটেল তার উপর ন্যস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে নির্দেশ দিয়েছেন যে, কাফিল খানকে আটকে রাখার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হবে। ফলস্বরূপ ডক্টর কাফিল খান ২০ নভেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত কারাগারে থাকবেন।
ডাক্তার কাফিল খান গোরখপুরের বাবা রাঘব দাস ( BRD) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ছিলেন, ২০১৭ সালে অক্সিজেনের অভাবে ৬৩ জন শিশু মারা গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে চিকিত্সা অবহেলা, দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনের মামলা দায়েরের পরে তাকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং নয় মাসের জন্য জেল দেওয়া হয়েছিল। তবে গত বছর উত্তরপ্রদেশ সরকারের তদন্তে তাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে সাফ করেছে এবং সংকট চলাকালীন জীবন বাঁচাতে তাঁর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।