লকডাউন মেনে পালিত হলো কালা বাবার ঔরস মুবারক।

আজিম সেখ, নতুন গতি:বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত কাষ্ঠগড়া গ্রাম । এই গ্রামের একটি ঐতিহ্য কালা পীরের মাজার।মাঝ মাঠের মধ্যে বহু বছরের পুরনো রয়েছে একটি পীর বাবার মাজার শরীফ এক কথায় পুরো এলাকাবাসী চেনে কালাবাবা অথবা কেউ চেনে বাবাকালা নামে। এই কালাবাবার মাজার টির অবস্থান বর্তমানে কাষ্ঠগড়া ,গুগ ও,দুটি আদিবাসী গ্রাম পারকান্দি , শোলাগড়িয়ার ঠিক তার মাঝখানে অবস্থিত এই কালা বাবার মাজার শরীফ। চারিদিকে রয়েছে ফাঁকা মাঠ একটি মনোরম পরিবেশ,কিন্তু এই মাজারের কাছে না রয়েছে কোনো জনবসতি না রয়েছে কোনো দোকান তাই তো গ্রাম বহির গ্রাম, দেশ দেশান্তর থেকে আসেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে। অনেকই স্ব-পরিবারে এসে আবার রান্না করে খেয়ে জান। এই মাজার যেন মনে হচ্ছে এই সমস্ত গ্রামের মিলবন্ধন জন্য রয়েছে এই কলবাবার মাজার শরীফ।

    প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এই মাজারে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। হিন্দু মুসলিম আদিবাসী সকলে উপস্থিত হয় প্রত্যেকে নিজের মনের কামনা বাসনা জন্য কেউ দুধ কলা, কেউ ফুল ,কেউ ধূপবাতি, কেউ চাদর, কেউ আবার মাটির ঘোড়া চড়ান এই মাজারে। এছাড়াও নিজের ইচ্ছামত দর্শনের আসেন হাজার হাজার মানুষ। আর শুরু হয় একদিনের জন্য একটি মিলন সমাগম মেলা। সাধারণত অবস্থায় বৈশাখ মানেই প্রচন্ড রোদ গরম হয় এমনকি কালবৈশাখী ঝড়ের মুখে পড়তে হয় অনেককে ।কিন্তু যত কিছুই হোক না কেন কোনোভাবেই বন্ধ হয়নি এই কালা বাবার ঔরস বা মেলা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেশজুড়ে এমন একটি পর্যায়ে শিকার হয়েছেন মানুষ। সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে মহামারী লকডাউন। আর সেই রীতিনীতি মেনে এই বছর আর হলোনা এই কালা বাবার মেলা ।তবে বন্ধ ছিলনা ঔরস । এদিন কোন দোকান না বসলেও কোনো রকম মেলা না হলেও সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে।কালাবাবার মাজারে চাদর চড়ানো থেকে শুরু করে দর্শন করেন একে একে ভক্তরা।এই কালাবাবার মাজারের যারা দেখা সোনা করেন তাদের কে দেওয়ান বলা হয় আমরা দেওয়ান দের সঙ্গে কথা বলে জানলাম তাদের বক্তব্য সারা দেশ জুড়ে যখন মসজিদে জামাত করে নামাজ বন্ধ,রমজান মাস চলছে কিন্তু মসজিদে জামাত করে তারাবীর নামাজ বন্ধ, চাপুরি মেলা থেকে আরম্ভ করে আরো সৌদি আরবের হজ পর্যন্ত সমস্ত কিছুই বন্ধ।এই মেলা টা তো সামান্য ব্যাপার।মানুষ বেঁচে থাকলে সব হবে এক কথাই জীবন আগে।তাই আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো মেলা বা দোকান বসতে দিবনা।শুধু একটা মাত্র ফুল ,চাদর , তবুরুকের দোকান খাদিম অর্থাৎ দেওয়ান দের পক্ষে করা হয়েছে।সরকারি নীয়ম মেনেই আমরা আজকের দিনটা পালন করবো।এবং সবাই কে আনুরোধ করবো বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন,স্ব-পরিবারে সুরক্ষিত থাকুন।