কন্যাশ্রী দিবস: কারা পেয়ে থাকেন এই প্রকল্পের সুবিধা? কিভাবে পেয়ে থাকেন? জেনে নিন

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: শনিবার কন্যাশ্রী দিবস পালন হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা হয়।

    কি এই কন্যাশ্রী প্রকল্প?

    ১৮ বছরের আগে যাতে মেয়েদের বিয়ে রোখা যায়, যেন তাঁরা পড়াশুনো করে স্বনির্ভর হতে পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। গরিব ঘরের মেয়েদের যাতে টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ না হয় তা দেখাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

    এই প্রকল্প অনুযায়ী, এই প্রকল্প থেকে বছরে এক বার পাঁচশো টাকা করে বৃত্তি পাওয়া যাবে। ১৮ বছর পর্যন্ত বিয়ে না করে থাকলে ও পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এককালীন অনুদান পঁচিশ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এদিন কন্যাশ্রী দিবসে ট্যুইটও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার সব মেয়েদের সাফল্য আমি উদযাপন করছি। আমি তাদের কৃতিত্ব, উৎসাহ আর নিষ্ঠার জন্য গর্বিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করেছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই আমাদের সর্বদা কাজ করে যাওয়া উচিত।”

    কারা পেয়ে থাকেন সুবিধা?

    যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে এবং পারিবারিক আয়ের সীমা বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বা তার কম, তারা এই বৃত্তি পাবে। শুধুমাত্র বয়সই অনুদান পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা নয়। যে সব মেয়ে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করছে বা বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যুক্ত একমাত্র তারাই এই বৃত্তি পাবে।

    এই ফর্ম পাওয়া যায় কোথায়?

    সমস্ত মাধ্যমিক – উচ্চমাধ্যিমক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কন্যাশ্রীর ফর্ম পাওয়া যায় । মহকুমা শাসকের অফিস, ব্লক অফিসেও এই ফর্ম দেওয়া হয়। বিধাননগরের সমাজকল্যাণ দফতরের কমিশনারেট থেকেও ফর্ম তোলা যেতে পারে। কলকাতা পুরসভার কার্যালয়গুলিতেও কন্যাশ্রীর ফর্ম পাওয়া যায় গ্রামাঞ্চলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, আশা কর্মীদের কাছ থেকেও ফর্ম নিতেন পারেন। ফর্ম বিনামূল্য পাওয়া যায়।

    কন্যাশ্রীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখন কন্যাশ্রীর জন্য রেজিস্টার্ড ইনস্টিটিউট রয়েছে ১৮ হাজার ১০৬টি। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে নাম নথিভুক্ত করেছেন ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪২৬ জন। এদের মধ্যে ২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৩৪ জনকে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প Skoch Award ও Order of Merit Award পায় এবং জন্য, ২০১৪-১৫ সালে CSI-Nihilent অ্যাওয়ার্ড পায় ই-গভর্নেন্সের জন্য।