|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট ‘আতঙ্কের দেশভাগ স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। দেশভাগের সময় মানুষের আত্মত্যাগ ও যন্ত্রণার কথা স্মরণ করা হবে এই দিন। শনিবার টুইট করে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, দেশভাগের যন্ত্রণা কখনও ভোলা সম্ভব নয়।
টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দেশভাগের যন্ত্রণা ভোলার নয়। আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাই-বোন অর্থহীন বিদ্বেষ ও হিংসার জেরে আশ্রয়চ্যূত হয়েছেন, কেউ আবার প্রাণ হারিয়েছেন। ওই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে ১৪ অগাস্ট ‘আতঙ্কের দেশভাগ স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।”
আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, “ভয়াবহ দেশভাগ স্মরণ দিবস সামাজিক বিভাজন, অনৈক্যের বিষ দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেবে এবং একাত্মতা, সামাজিক ঐক্য ও মানুষের ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করবে।”
১৪ অগাস্ট ১৯৪৭, কি হয়েছিল সেদিন?
ওইদিন চূড়ান্ত করা হয়েছিল দেশভাগ। ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান ও ১৫ অগাস্ট ভারতকে পৃথক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারত স্বাধীনতা পেলেও দেশকে ভেঙে টুকরো করা হয়েছিল। অবিভক্ত ভারতবর্ষের বদলে তৈরি হয় ভারত ও পাকিস্তান। এই দেশভাগের জেরে ঘরছাড়া হয়েছিলেন বহু মানুষ। শুরু হয় ধর্মীয় ভেদাভেদ, গণলুন্ঠন সহ একাধিক ঘটনা। দেশভাগের ফলে তখন পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানের অংশ করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধ
পরে ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তবে এই দেশভাগ শুধুমাত্রই দেশের ভূখণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। অনেক পরিবারকে গৃহহারা হতে হয়েছিল। তাই সেই দেশভাগের ক্ষত এখনও দগদগে অনেকের মনে। আর ভয়াবহ সেই স্মৃতির স্মরণেই আজকের দিনটিকে ‘আতঙ্কের দেশভাগ স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালন করার অনুরোধ করেন মোদী।
‘আজাদি কা মহোৎসব’ অনুষ্ঠানের সূচনা
আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস। ৭৫ তম বছরে পা দেওয়ার উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ সপ্তাহ আগেই ‘আজাদি কা মহোৎসব’ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ৯১ বছর আগে ১২ মার্চ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ডান্ডি পদযাত্রার সূচনা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী।