ভারতের মুসলিম সংগঠনগুলির কাশ্মীর সম্পর্কে সর্বসম্মত মত।*

চৌধুরী আতিকুর রহমান,নতুন দিল্লি: কাশ্মিরের বিশেষ স্ট্যাটাস ধারা ৩৭০ বিলোপের পর, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ভারতের সমস্ত মুসলিম সংস্থা ও নেতাদের আহ্বান করেন উক্ত রাজ্যের ভয়ঙ্কর অবস্থা নিয়ে আলাপ আলোচনার জন্যে। উক্ত সভা গভীরভাবে চিন্তা করে সর্বসম্মত সমাধানে পৌঁছেছে।

    রেজুলেশনে রয়েছে, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রধান কাজ হল, দেশের স্থিতিশীলতা ও অখন্ডতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষা প্রদান করা এবং এই বিষয়ে কোন আপোষ করা হবে না। সংবিধানে লিখিত সকলের জন্যে সমতা, সুবিচার এবং মানবাধিকার রক্ষা দেশের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা রক্ষাকে বোঝায়। সংবিধান অনুসরণ না করলে শান্তি ও প্রশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারব না একইসঙ্গে সরকার জোরজবরদস্তি করে আনুগত্য ক্রয় করতে পারবে না।

    আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংবিধানে ধারা ৩৭০ গ্রহণ করা হয় এবং এটিকে বিলোপ করতে গেলেও সাংবিধানিক পদ্ধতির মাধ্যমে করতে হবে। যে প্রক্রিয়ায় ধারাটি বিলোপ করা হয়েছে তা সাংবিধানিক আপত্তি ও ন্যায্যতা ডেকে এনেছে। এখন এই মুহূর্তে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং কোন কিছু করার আগে আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের সীদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। যতক্ষন না, প্রমাণিত হচ্ছে ৩৭০ ধারা বিলোপ সংবিধান অনুযায়ী হয়নি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নজর দিই কাশ্মিরি জনতার ন্যূনতম মানবাধিকার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার দিকে। কারফিউ তুলে নেওয়া, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ফিরিয়ে আনা, স্বাস্থ ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সুলভ করা, স্কুল-কলেজ খোলা অতি সত্বর করতে হবে। সরকারকে দ্রুত এসব করতে হবে।

    এইরকম অবস্থায়, আমরা যুবকদের কাছে অনুরোধ করছি, দায়িত্বজ্ঞানহীন মিডিয়া ও শত্রুভাবাপন্ন শক্তি দ্বারা প্রচারিত মিথ্যা ও জাল খবর তাঁরা যেন সামাজিক মাধ্যমে না দেন। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যবহার কোন একক যুবক, পরিবার বা সমাজের উপকারের জন্যে।

    সভাটি (অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০১৯; জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের দিল্লি সদর দপ্তরে) এই বক্তব্য পেশ করেছে, উপস্থিত ছিলেন এবং অনুমোদন দিয়েছেন, জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সভাপতি মৌলানা ক্কারি মহম্মদ ওসমান মনসুরপুরি; জামাত ই ইসলামির আমির সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি; আমির মারকাজে জমিয়ত আহলে হাদিস মৌলানা আসগর আলি ইমাম মেহদি সালাফি; মৌলানা মাহমুদ মাদানি-সাধারণ সচিব জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ; ডা. জাফারুল ইসলাম খান-চেয়ারম্যান দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশণ; কামাল ফারুকি-সদস্য মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড; মুজতবা ফারুকি-মজলিশে মুশাওয়ারত; তানবির হাশমি- সভাপতি জামাআতে আহলে সুন্নত; এম জে খান-সভাপতি, খাদ্য ও কৃষি বিভাগ; মৌলানা সাব্বির নাদওয়ি; ডা. সৈয়দ জাফর মাহমুদ, জাকাত ফাউন্ডেশন ; নিয়াজ আহমেদ; শাকিল আহমেদ; মৌলানা আব্দুল হামিদ নোমানি; মৌলানা হাকিমুদ্দিন কাশমি; মৌলানা ময়জুউদ্দিন।