|
---|
মো: নাজমুস সাহাদাত, মোথাবাড়ি :প্রায় দু বছর অতিক্রান্ত । ছেলে নিখোঁজ। ছেলে তুমি কোথায় আছো এই স্বপ্ন নিয়ে ঘুম নেই মা- বাবার । ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর কার্যত চোখের ঘুম উধাও হয়েছে বাবা আনোয়ারুল ও মা মানোয়ারা খাতুনের।
একদিন না একদিন ছেলে ফিরে আসবে এই আশাতে এখনো পথ চেয়ে বসে আছে পরিবার । হারিয়ে যাওয়া ছেলে ফিরে পাওয়ার আশাতে এখনো, মানিকচক, ইংরেজবাজার, কালিয়াচক, রায়গঞ্জ, অন্যান্য প্রভৃতি এলাকার গ্রামে গ্রামে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তার হতভাগ্য বাবা-মা। পুলিশ প্রশাসন থেকে সমাজের মোড়ল, সর্দার, পরিচিত সবাইকে জানিয়েছেন ছেলে নিখোঁজ হওয়ার কথা । সকলের প্রতি আস্থা হারিয়ে এখন শুধু আশায় দিন গুনছে ও আল্লার প্রতি চেয়ে আছে বৃদ্ধ পিতা মাতা ।
কালিয়াচক -২ ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল ও তার স্ত্রী মনোয়ারা। ছেলেটি ছিল খুবই মেধাবী । আর সহজ-সরল ছেলেটি শারীরিকভাবে সুঠাম হলেও মানসিকভাবে ছিল দুর্বল। নবম শ্রেণী শ্রেনী থেকে আসমাউলের কিছু মানসিক ও অসংলগ্ন আচরণ লক্ষ্য করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাই বাবা মালদা, বহরমপুর প্রভৃতি এলাকায় ছেলেকে চিকিৎসা করিয়েছেন । এছাড়া ও রাঁচীতে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু আসমাউল সেখানে চিকিত্সা করতে অরাজী হওয়ায় চরম জেদ ধরে ।
কার্যত রাঁচী পৌঁছানোর পরেও চিকিৎসা না করিয়ে ফিরে আসে । রাঁচী থেকে ট্রেনে ফেরেন মালদা টাউন স্টেশনে কাক ভোরে নামেন । স্টেশনের বাইরে বেরনোর পর ছেলে প্রশ্রাব করবে বলে বাবাকে জানায়। প্রশ্রাব করার সময় বাবা ও অন্যরা একটু আড়াল হয় । একটু পর দেখছে সেখানে নেই । খোঁজা খুঁজি শুরু করেন স্টেশন এলাকায় কিন্তু খোঁজ মেলেনি । তারপর থেকে আজো খোঁজ মেলেনি । প্রায় দু বছর আগের কথা , বাবা আনোয়ারুল হক সহ পরিবারের তিনজন রাঁচী গিয়েছিল । ফেরার পর মালদা টাউন স্টেশনের বাইরে নিখোঁজ হয় ১ এপ্রিল ২০১৭ , সেদিনই ইংরেজবাজার থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তারা । কিন্তু কোথায় গেল দাদা! পুলিশ এখন ও খোঁজ দিতে পারেনি ।কীভাবে খোঁজখবর পাওয়া যায়, সচেষ্ট রয়েছি আমরা ।