নারদ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও বড় ধাক্কা খেল সিবিআই

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নারদ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও বড় ধাক্কা খেল সিবিআই। চার হেভিওয়েট অভিযুক্তের জামিন শুনানিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে মাঝরাতে আবেদন করার পরও লক্ষ্য সফল হল না। সেই মামলা গ্রহণই করল না শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, তাই তা গৃহীত হল না। নতুন করে মামলা দায়ের করতে হবে।

    পদে পদে ধাক্কা। নারদ মামলা কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে টেনে নিয়ে আরও বিপাকে পড়ল সিবিআই। রবিবার মাঝরাতে অনলাইনের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে সিবিআই আবেদন জানায়, সোমবার নারদ মামলায় হাই কোর্টের শুনানির জন্য ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ তৈরির বিরোধিতা করা হচ্ছে। এদিন সেখানে ধৃত চার হেভিওয়েটের জামিন মামলার শুনানি স্থগিতের নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বেলায়  সেই মামলা বিস্তারিত দেখার পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জানিয়ে দেন, আবেদনে পদ্ধতিগত অন্তত ১২টি ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। তাই তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা গিয়েছে, এই দাবি করে এদিন কলকাতা হাই কোর্টেও শুনানি স্থগিতের আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। ফলে নারদ মামলা নিয়ে একদিনে জোড়া ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর অবশ্য তারা আবার কীভাবে, কবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন, তা এখনও স্থির হয়নি।

    ১৭ মে নারদ মামলায় বিনা নোটিসে বাড়ি থেকে প্রথমে আটক করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই আদালতে তোলা হলে প্রথমে জামিন মঞ্জুর হলেও নাটকীয়ভাবে সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিনের পক্ষে থাকলেও বিরোধিতা করেন রাজেশ বিন্দল। এরপরই ধৃতদের জেল হেফাজত থেকে রেহাই দিয়ে তাঁদের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে জামিন মামলার নিষ্পত্তির জন্য গঠন করা হয় বৃহত্তর বেঞ্চ। তার বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ধাক্কা খেতে হল সিবিআইকে।