|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক,মালদহ: আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ক্লাস চালু করে দিচ্ছে মালদহ জেলা প্রশাসন। তবে এই ক্লাসে হাজির থাকার জন্য স্কুলে যেতে হবে না ছাত্রছাত্রীদের। বরং শিক্ষকশিক্ষিকারাই আসবেন ছাত্রছাত্রীদের কাছে এবং টেলিভিশনের পর্দায়। আপাতত নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্যই থাকছে এই টেলি-ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা। সোমবারই এমন দু’টি ক্লাসের পড়াশোনার রেকর্ডিং হয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনিক ভবনে।
সাধারণতঃ স্কুল যেমন সময়ে বসে তেমন সকাল ১১টা থেকেই শুরু হবে এই লেখাপড়া। চলবে প্রায় ঘণ্টা তিনেক। অর্থাৎ শনিবারের অর্ধদিবস স্কুলের ধারণাকে সামনে রেখেই রোজই চলবে এই টেলি-স্কুল। পড়াবেন মালদহের বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকারা।জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই টেলিভাইজড ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই টেলি-ক্লাস চালু হচ্ছে ১ আগস্ট থেকে। বেশ কয়েকটি কেবল চ্যানেল পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আরও একটির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা। আমাদের বিশ্বাস, এই ক্লাসের মাধ্যমে পড়ুয়ারা যথেষ্ট উপকার পাবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলা জুড়ে বিভিন্ন কেবল কানেকশন যুক্ত টিভি’তে এই ক্লাস দেখতে পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছু অংশের পড়ুয়ারাও এই সুবিধা পাবেন। আরও একটি বৃহৎ কেবল পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা ফলপ্রসূ হলে প্রায় সারা রাজ্যের পড়ুয়ারাই এই ক্লাসের সুবিধা পাবেন।স্কুলের মতই রুটিন করে এই ক্লাস করা হবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এমন একটি রুটিনের কাঠামোও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) অর্ণব চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন, নবম ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য সোমবার হবে অঙ্কের ক্লাস। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে যথাক্রমে লাইফ সায়েন্স, ভূগোল ও অঙ্কের ক্লাস হবে। মঙ্গলবার ও শনিবারে হবে ফিজিক্স ক্লাস।
অন্যদিকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত যথাক্রমে পলিটিক্যাল সায়েন্স, ফিলসফি, অঙ্ক, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি ক্লাস হবে।
রবিবার স্কুলে ছুটি থাকে। তাই এই টেলি-স্কুলেও ক্লাস বন্ধ থাকবে সপ্তাহের একদিন।জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) উদয়ন ভৌমিক বলেন, জেলাশাসকের উদ্যোগে এই ক্লাস চালু হচ্ছে। দক্ষ ও উৎসাহী শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে এসেছেন। আমরা তাঁদের শিক্ষণ-কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। প্রথমে নবম ও দশম এবং দ্বিতীয় ধাপে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পঠনপাঠন শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ক্লাসের পর ওই টেলি-ক্লাসের বিষয়বস্তু তুলে দেওয়া হবে একটি ইউটিউব চ্যানেলেও। এর উদ্দেশ্য হল পড়ুয়ারা যেন কিছু ভুলে গেলে ওই ক্লাসটি আবার ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন।
প্রতিটি বিষয়ে চ্যাপ্টার ধরে ধরে আলোচনা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক একই সঙ্গে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার কৃতী পড়ুয়াদের কাছে মানপত্র পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।