শুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বাংলার মেয়ে মেহুলি ঘোষের তার পরেই আনন্দের বাতাবরণ তার বৈদ্যবটির বাড়িতে

নিজস্ব সংবাদদাতা : শুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বাংলার মেয়ে মেহুলি ঘোষের। তার পরেই আনন্দের বাতাবরণ তার বৈদ্যবটির বাড়িতে। খেলা চলা কালীন এক সেকেন্ডের জন্যেও টিভির পর্দা থেকে চোখ সরাননি তার মা মিতালি ঘোষ। মেয়ের সাফল্যে একইসঙ্গে আনন্দিত ও গর্বিত তিনি। মায়ের আশা অলিম্পিকেও সোনা জয়। এয়ার রাইফেল মিক্সড ইভেন্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১০.৯ স্কোর করে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে দেশের হয়ে সোনা জয় মেহলির। শাহু তুষার মানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যাংওনে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড টিম বিভাগে সোনা জয় করেন দুজনেই। হাঙ্গেরির জুটি এস্তার মেসজারোস এবং ইস্তভান পেনকে ১৭-১৩ পয়েন্টে প্ররাজিত করেন মেহুলি এবং তুষার। হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা মেহলি বর্তমানে রয়েছেন হায়দ্রাবাদে। মাত্র ২১ বছর বয়সি মেহোলি পড়াশোনার পাশাপাশি শুটিং নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ছোটো বয়স থেকেই। হায়দ্রাবাদ গগন নারায়ণ শুটিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। এর আগে সিনিয়র পর্যায়ে মেহুলি সোনা পেয়েছিলেন ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে।এটি তাঁর দেশের হয়ে দ্বিতীয় সোনা জয়। মেয়ের সোনা জয়ে তার মা মিতালী ঘোষ বেজায় আনন্দিত। তিনি জানান, দেশের জার্সি গায়ে মেয়েকে খেলতে দেখে তিনি গর্বিত। তিনি জানান, সিঙ্গেলস এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সেমি ফাইনালেই আটকে যায় মেহুলি। তা দেখে মন খরাপ হয়েছিল তার মায়ের। কিন্তু তিনি আশাবাদী ছিলেন মেয়েকে নিয়ে।পরবর্তীতে মিক্সড এয়ার রাইফেল শুটিং ইভেন্টের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চাম্পিয়ান হওয়াতে আবারো মন জয় করে নিয়েছিলেন মেহুলি। বৈদ্যবাটির বাড়িতে বসে মা মিতালী ঘোষ বলেন, মেয়ের সোনা জয়ে তিনি আনন্দিত। কিন্তু এখনও আসল পরীক্ষা বাকি। টোকিও অলিম্পিকে চান্স পেয়েও করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় সে বছরের অলিম্পিক গেম।তাই মেয়েকে দেশের হয়ে অলিম্পিকে খেলতে দেখতে উদগ্রীব তার মা। তিনি আরও জানান, মেহুলি যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে তাহলে নিশ্চয়ই ২০২৪ এর প্যারিস অলিম্পিকে সুযোগ পাবে । তার মা বলছেন, আপাতত অলিম্পিক নিয়েই ফোকাস মেহলির। আগের বার মিস হয়েছে। এই বার আরও বেশি করে প্রস্তুতি নিচ্ছে ২৪ অলিম্পিকের জন্য।