|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ইহুদিদের উপর নাৎসি বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের গল্প শুনলে গা কাঁটা দিয়ে উঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লক্ষ লক্ষ ইহুদি মারা পড়েছিল নাৎসি বাহিনীর হাতে। নির্মম অত্যাচার চালানো হতো ইহুদিদের উপর। জোর করে তাদের শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হত। শিবিরের অবস্থা ছিল দুর্বিষহ। আধপেটা খাওয়া, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটতে খাটতে অনেকেই মারা পড়ত। অবশিষ্টদের গ্যাস চেম্বার এ পাঠানো হতো মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য।
এই প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছিল ভালোবাসার গল্প এক ইহুদির মেয়ের সাথে নাৎসি যোদ্ধার। ইহুদির মেয়ের নাম হেলেনা। তাকে গ্যাস চেম্বার এ পাঠানো হবে, এই পরিস্থিতিতে তার গলায় গান শুনতে চায় ওই ইহুদি যোদ্ধা। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে তার গান শুনে প্রেমে পড়ে যায় সে। এরপর তাকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে নেয়। শুধু একবার নয় বারবার হেলেনাকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচায় ভুঙ্কি। এখানেই শেষ নয় হেলেনার বোনকেও মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিল সে। দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ছিল নিখাদ।যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইহুদিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। চারিদিকে শুধু হাহাকার আর আর্তনাদ শুনতে পাওয়া যেত। প্রচুর মানুষ এই বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ওই ইহুদী যোদ্ধার বিচার শুরু হয়েছিল যুদ্ধের পরে। হেলেনার সাক্ষীর জন্য তার প্রাণ রক্ষা হয়। ভালোবাসার এই অসমাপ্ত গল্প ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।