প্রজাতন্ত্র দিবসের বিষয় কিছু অজানা তথ্য

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ২৬শে জানুয়ারি মানেই আরও একটা ছুটির দিন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হয় কোথাও বেড়াতে যাওয়া, না হলে টিভির সামনে বসে প্যারেড দেখা। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের ইতিহাস ও বর্তমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কেন প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়, কী এর গুরুত্ব তা আপনার সন্তানকে অবশ্যই বুঝিয়ে বলুন। প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কে এই কয়েকটি তথ্য যেন তার অবশ্যই জানা থাকে।

    * প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। কারণ এইদিনে ড. বালাসাহেব আম্বেদকরের রচিত দেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। ১৯৩০ সালে এই দিনেই পূর্ণ স্বরাজ ঘোষিত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে কংগ্রেস-সহ অন্য দলগুলি ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করত।

    * দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এবং সংবিধান চালুর আগে ভারতে কলোনিয়াল গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট কার্যকর ছিল।

    * সংবিধান রচনা সম্পূর্ণ করতে ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন সময় লেগেছিল। ১৯৫০-এর ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের দুটি কপি অ্যাসেম্বলিতে স্বাক্ষরিত হয়।

    * ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে দেশের সংবিধান কার্যকর হয়।

    * ভারতের সংবিধান গোটা পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম। এক দিনে এই সংবিধান পড়ে শেষ করা সম্ভব নয়।

    * আমাদের সংবিধান পুরোটাই হাতে লেখা, ছাপানো কাগজ নয়। এর দুটি অরিজিনাল কপি আছে, একটি হিন্দি ও অন্যটি ইংরেজিতে লেখা। সংসদ ভবনে সংরক্ষিত আছে এই দুটি কপি।

    * প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান প্রেজেন্ট করেন দেশের রাষ্ট্রপতি।

    * প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি সাহসিকতার জন্য পুরস্কার প্রদান করে থাকেন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ও নাগরিকদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সাহসিকতা নজির সৃষ্টিকারী শিশুরাও এদিন পুরস্কৃত হয়।

    * প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান তিন দিন ধরে চলে। তৃতীয় দিন বিটিং রিট্রিটের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

    * শেষ দিতে বিটিং রিট্রিটে ‘অ্যাবাইড উইথ মি’ গানটি বাজানো হয়। এটি সে বছরের মতো প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সমাপ্তির সূচনা করে।