কেশপুরের কংগ্রেস প্রার্থীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ মন্ত্রী শিউলির, পাল্টা তোপ কংগ্রেস নেতা সাইফুলের

নিজস্ব সংবাদদাতা :পঞ্চায়েতে টিকিট না পেয়ে দল ছেড়েছিলেন কেশপুরের তৃণমূল নেতা আব্দুল জব্বার মল্লিক। পরবর্তীতে কংগ্রেসের যোগদান করেন এবং কেশপুর ব্লকের উচাহার দক্ষিণ পল্লী বুথ ১৯৫নং আসনে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তিনি। এই কংগ্রেস প্রার্থীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী তথা কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। শিউলির বক্তব্য, তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া কংগ্রেস প্রার্থীকে হারাবোই। শিউলিকে পাল্টা তোপ দেগেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের যুব কংগ্রেস নেতা মহম্মদ সাইফুল। তিনি বলেন, শিউলি সাহা কবে থেকে জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শী হলেন সেটা আমি জানি না।কেশপুরের আনন্দপুরের সভা থেকে সততার মুখ হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুর ব্লকের উচাহার গ্রামের সেখ হসিনুউদ্দিনকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ওই গ্রামেরই তৃণমূল নেতা আব্দুল জব্বার মল্লিক পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। পঞ্চায়েতে টিকিট না পেয়ে আশাহত হয়ে তিনি যোগ দেন জাতীয় কংগ্রেসে। এরপর কংগ্রেসের তরফ থেকে তাকে ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে শিউলি সাহা বলেন, এটি আমি ভালো চোখে দেখছি না। সে একজন তৃণমূলে একনিষ্ঠ কর্মী ছিল,তার যদি ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল সে ব্লক নেতৃত্বের কাছে এসে তার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারত। তা না করে বিরোধী দলে মনোনয়ন করেছে। তাকে আমরা অবশ্যই ভোটে হারাবো ,হারাবো হারাবো। এটা আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম। এছাড়াও সেখ হসিনুউদ্দিনকে হারানোর ব্যাপারে কোনো তৃণমূল কর্মী যদি পিছন থেকে সাহায্য করে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসকে নষ্ট করার চেষ্টা করে , তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে দলের তরফ থেকে বলে জানান শিউলি সাহা।

     

    কংগ্রেস নেতা সাইফুল বলেন,

    শিউলি সাহা কবে থেকে জ্যোতিষীবিদ্যায় পারদর্শী হলেন সেটা আমি জানি না।মানুষ ঠিক করবে কে জিতবে আর কে হারবে। মানুষের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের আস্থা আর নেই বলেই বিরোধী দলকে তৃণমূল মনোনয়ন পর্যন্ত করতে দেয়নি । তিনি আরো বিস্ফোরকভাবে বলেন, যদিও কিছু জায়গায় কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে । ভোটকে যদি প্রহসনে পরিণত না করে তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ওই আসনে কংগ্রেস অবশ্যই জিতবে কারণ চোর তৃণমূল কংগ্রেসকে পছন্দ করে না।