কলকাতা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে অপহৃত মালদার তরুণী

মোহাঃ কামরুজ্জামান, কালিয়াচক মালদা। নতুন গতি:-

    মালদা জেলার অন্তর্গত ওল্ড মালদা থানার জলঙ্গা এলাকার মেয়ে রুকসানা খাতুন(নাম পরিবর্তিত) শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলতি মাসের এক তারিখে কলকাতা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে যায়। কিন্তু কলকাতা যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তার আর কোনো খোঁজ খবর মেলেনি।

    তার ভাইয়ের কথা অনুযায়ী তার বোন শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝে মধ্যেই কলকাতা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে যায়। ঠিক আগের মতো এবারও সে 1 তারিখে চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে গিয়েছিলো। কিন্তু সে এখনো বাড়ি ফেরেনি। কয়েকদিন অপেক্ষা করার পর তার ভাই ফেসবুকে বোন হারিয়ে যাওয়ার একটি পোস্টও করেন। তা সত্ত্বেও কোনো খোঁজ পাইনি। মেয়েটির বাড়িতে তার সৎ ভাই ছাড়া খোঁজখবর নেওয়ার কেউই নাই। তার ভাইয়ের অনুমান যে, তার বোনকে কেউ অপহরণ করে কোথাও বিক্রি করেছে।

    এরকমভাবে কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর ১২ তারিখে তার কাকার মোবাইলে এক অচেনা নম্বর থেকে একটি উড়ো ফোন আসে। ফোনে সে ক্রন্দনরত গলায় তার চাচাকে বলে যে, চাচা আমাকে বাঁচাও আমাকে বাঁচাও। আমাকে কেউ জবরদস্তি ধরে নিয়ে এসে কোনো পাঞ্জিপাড়া নামক এলাকায় বিক্রি করে দিয়েছে।

    এরকমভাবে সে দুদিনে মধ্যে আরো দুটো নম্বর থেকে ফোন করে জানাই যে, আমাকে বাঁচাও আমি বড়ো বিপদে আছি। আমাকে কোনো পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে এখান থেকে বের করো নইলে আমি আর বাঁচবো না। সে কোনোরকম কারো ফোন থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই তার বাড়ি থেকে তার এক বোন সেই নম্বরগুলোর মধ্যে একটি নম্বরে ফোন করলে এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান যে, মেয়েটাকে কলকাতায় কেউ বিক্রি করেছে। বর্তমানে তাকে বিহার রাজ্যের মিথিলা জেলার কোনো বেথিয়া নামক এলাকায় পতিতালয়ে রয়েছে। লোকটি আরো বলেন যে ওকে তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের করে নিয়ে যাও। কারণ সে খুব কাঁদছে এবং আর বাঁচতে পারবে না এরকমভাবে সে মারা যাবে।

    এমতো অবস্থায় মেয়েটির ভাই ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের’ মালদা জেলা শাখার কর্ণধার নজিবুর রহমানের স্মরণাপন্ন হয়। তখন তিনি এবং তাঁর কিছু সদস্যদের নিয়ে মঞ্চের পক্ষ থেকে তার ভাইকে সঙ্গে করে ওল্ড মালদা থানায় এফএইআর করান। ওল্ড মালদা থানার আইসি মনোবেন্দ্র সাহা মেয়েটিকে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেন।