দূঃস্থ মানুষের নথি হাতিয়ে ও বেশি ঋন নিয়ে উধাও মহিলা, মেমারী থানায় অভিযোগ দায়ের।

নূর আহমেদ,মেমারি : ৮ মার্চ, সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলা। দেখতে ও সুন্দর। এলাকার প্রভাবশালী ও প্রতেবেশীদের সাথেও দিব্যি সুসম্পর্ক। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে দূঃস্থ ও অসহায় মানুষের নথি হাতিয়ে প্রায় কোটি টাকার ও বেশি আর্থি ঋন নিয়ে উধাও সুন্দরী গৃহবধূ। এমনি অভিযোগ মেমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুকতারা বিবির বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঐ সবেশা মহিলা, মেমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতান পুরে প্রায় ৫০ জনের ও বেশি দূঃস্থ ও অসহায় মানুষের নথি হাতিয়ে তাদের ভুল বুঝিয় বিভিন্ন বেসরকারী লোনপ্রদান কারী সংস্থার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন তোলা হয়। যার কিছু অংশ প্রকৃত গ্রহক দের দেওয়া হলেও বাকি অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ। এর পর প্রাথমিক ভাবে ঋন প্রদান কারী সংস্থাকে মাসিক হারে নির্দিষ্ট কিস্তি পরিশোধ করলেও গত ২ মাস ধরে কিস্তি জমা না পড়ায় ঋন প্রদান কারী সংস্থার আধীকারিকরা গ্রাহকদের ঋন পরিশোধ এর জন্য চাপ দিতে থাকে। এর পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার ঋনগ্রস্থ মহিলারা অভিযুক্ত শুকতারা বিবির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও শুকতারা বিবি ও তার স্বামী সেখ হানিফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। এই মর্মে বৃহস্পতিবার রাতে মেমারী থানায় শুকতারা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত হওয়া মহিলারা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মেমারী থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে কার মদতে দূঃস্থ ও অসহায় মানুষের নথি হাতিয়ে এমন দূর্নীতি করলেন? কোন রহস্য রয়েছে এর পিছনে। জানযায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তৃণমূল করেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ঠ। উল্লেখ্য মেমারী চেকপোস্ট সংলগ্ন রেলগেটের পাশে একটি অনলাইনের দোকান ও রয়েছে। কিন্তু একাধিকবার শুকতারা বিবি ও তার স্বামির সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি তার। এই পরিস্থিতিতে ঋনগ্রস্থ মহিলারা থানায় অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সাথে আত্মসাৎ কৃত অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার কথাও বলেন। কিন্তু পাড়ার স্মার্ট সুন্দরী মহিলা অত্যন্ত সু কৌশলে যে ভাবে বোকা বানিয়ে ঋন নিয়ে উধাও , আদৌকি অত সহোযে ধরা দেবেন তিনি? যদিও প্রশাসনের উপর আস্থা রাখছেন অভিযোগ কারীগরা।