আবাস যোজনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল উপ-প্রধান এর স্বামীর বিরুদ্ধে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক,মালদা: নিজের প্রাপ্য আবাস যোজনা টাকা অন্যের একাউন্টে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান এর স্বামীর বিরুদ্ধে। এমনটাই অভিযোগ তুলে বিডিও ও মহাকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াটোলার বাসিন্দা আনসারুল। তিনি অভিযোগ বেশ কিছুদিন আগে তুলসিহাটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও স্থানীয় মেম্বার তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র চেয়ে বসে এবং বলে তার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আসবে।

    সেই মোতাবেক তিনি কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও আবাস যোজনার টাকা তার একাউন্টে আসে না। অন্যদিকে তিনি জানতে পারেন উপ-প্রধানের স্বামী আব্বাস আলীর প্রতিবেশী যার নাম ও আনসারুল তার অ্যাকাউন্টে তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ও স্থানীয় মেম্বার যোগসাজশে সেই আবাস যোজনা টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে তিনি তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েও কোন উপকার হয়নি।তাই তিনি এ ব্যাপারে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে।শুধু তাই নয় এই টাকা ফেরত চাইতে গেলে যার একাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেও সবার সামনে 10 হাজার টাকা দাবি করে বসে তবে টাকা ফেরত দেবে। তাতেও রাজি হলো পরবর্তী কালে সেও বেঁকে বসে।এই অভিযোগ পঞ্চায়েতের সোনিয়া মেম্বারকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে মায়ের বার্ধক্য ভাতা বিধবা ভাতা সবই আটকে রয়েছে। অভিযোগ করেও কোনো ফল হয়নি।

    অভিযুক্ত তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মহুয়া বিবি পক্ষে তার স্বামী আব্বাস আলী জানান জানান এই আবাস যোজনার যে টাকা ঢুকেছে সেটা আগের পিরিয়ডের। আগেরমেম্বার যে ভুল করে গেছে তার ফল এই ভুল বোঝাবুঝিতে হয়েছে।। পঞ্চায়েত আধিকারিকরা সঠিক আনসারুল কে শনাক্ত করেছেন। আমরা শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করে ফেলব। টাকা নেওয়ার অভিযোগ তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

    তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা শশী দেব পান্ডে জানান তৃণমূল পরিচালিত তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এক বেনিফিসারী টাকা অন্য বেনিফিশিয়ারি দেয়া হচ্ছে। টাকার বিনিময় প্রকল্প পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে প্রধান থেকে মেম্বার উপদান সবাইকে কমপ্লেন করেছি। কিন্তু প্রতিবাদ করার পরেই মিলছে হুমকি। সমাধান তো দূর অস্ত।আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন এ নামবো।

    হরিশচন্দ্রপুর 1 নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত চলছে। এখন তো শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। তবে একটা বিষয় বলতে চাই সরকারি প্রকল্পের কোন টাকা পাওয়ার জন্য কোন বেনেফিশিয়ারি কে কাউকে ঘুষ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকার মানুষের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রকল্প গুলো করেছে।এর জন্য কোন টাকা কাউকে দেওয়ার কোথাও প্রয়োজন নেই।