|
---|
ময়নাগুড়ি : সিনেমার হিরোর কথা অনায়াসে মনে রাখলেও রিয়েল হিরোর কথা কত জনই বা মনে রাখে। সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায় তাদের নাম এবং পরিচয়। এমনই ঘটনার সাক্ষী ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মৌয়ামারী এলাকার দুই যুবকের।
গত ১৩ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া ময়নাগুড়ির ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় যারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে উদ্ধার কাজে সামিল হয়। তাদের খোঁজ রাখে না কেউ। উল্লেখ্য, ট্রেন দুর্ঘটনার সময় যে দুজন যুবক প্রথম ছুটে গিয়েছিল, প্রশাসনকে খবর দিয়েছিল তাদের সরকারিভাবে সম্মান জানানো তো দূরের কথা খোঁজও নেয় নি কেউ বলে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ অন্ধকারে উদ্ধার কাজের জন্য লাইট ভাড়া করে এনেও ভাড়া মেলেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দুর্ঘটনার প্রথম সাক্ষী তহিদুল ইসলাম ও জবেদুল ইসলাম। তারা জানান, মাঠে কাজ করার সময় এই ঘটনা দেখেই ছুটে যান তারা। তারাই প্রথম রেল এবং ব্লক প্রশাসনকে খবর দেন। এমনকি কাজ ফেলে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধার কাজে। ঘটনাস্থলে আসেন রেল দফতর, পুলিশ প্রশাসন ,দমকলের কর্মীরা। কিন্তূ সন্ধ্যে হয়ে আসায় ঘটনাস্থলে আলোর ব্যবস্থা করেন তারা। এমনকি নিজেদের লাইট না থাকায় ভাড়া করে এনে আলো জ্বালান। এত কিছু করার পরেও তাদের ধন্যবাদ তো দূরের কথা ঘটনা কেটে যাওয়ার বেশ কিছু দিন হলেও ভাড়া করা লাইটের টাকা পর্যন্ত মেলেনি। এই অবস্থায় পেশায় কৃষিজীবী এই দুই যুবকের পক্ষে সেই টাকা মেটানো মুশকিল বলে জানান। তাই তারা সেই ভাড়ার টাকার কথা জানান।
এই বিষয়ে তহিদুল ইসলামের মা তহমিনা বেগম বলেন, ” আমার ছেলে ও একটা ভাইস্তা এরাই প্রথম ছুটে যায় সেখানে। পুলিশকে খবর দেয়, মানুষকে বাঁচায়। পরে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় লাইটের ব্যবস্থা করে। কিন্তূ কেউ এখনো লাইটের ভাড়া দিলো না।”