প্রতিবাদী যুবক আনিস খাঁনের খুনের সঠিক তদন্ত চেয়ে পরিবারের পাশে ISF বিধায়ক ন‌ওসাদ সিদ্দিকী

হাওড়া: হাওড়ার আমতার সারদায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস খানকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তিনি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী ছিলেন। জানা গেছে, গত রাতে দুষ্কৃতীরা সাধারণ পুলিশ ও সিভিক পুলিশের পোশাক পরে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর আনিসকে খুন করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পাওয়া সত্ত্বেও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

    জানা গেছে, তরুণ ছাত্রনেতাকে বিভিন্ন সময়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, দুষ্কৃতীরা রাত বারোটার সময় পুলিশের ছদ্মবেশে এসে আনিসের মামলার বিষয়ে কথা বলে তার বাবাকে দিয়ে জোর করে দরজা খোলায়। ঢুকেই একজন দুষ্কৃতী তাঁর বাবাকে আটকে রাখে ও অন্যরা আনিসকে মারধর শুরু করে। দুষ্কৃতীদের সকলের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

    আজ সকালে আনিসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং আমতা থানায় যান আইএসএফের চেয়ারম্যান, বিধায়ক মহঃ নওসাদ সিদ্দিকী। শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান। পুলিশের ভূমিকার প্রতি তিনি সরাসরি অভিযোগ তোলেন। অবিলম্বে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতারের দাবী জানান। আইন-শৃঙ্খলার এই ভয়ানক অবনতির জন্য তিনি প্রশাসনকে দায়ী করেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত করুক। কিন্তু সেই কাজে গাফিলতি হলে আগামীদিনে আইএসএফ তীব্র আন্দোলন শুরু করবে। আনিসের মরদেহ উলুবেড়িয়ায় ময়নাতদন্তের পরে সন্ধ্যায় দাফন কাজ করা হয়।