নিমশায় একের পর এক পুকুরে মোড়ক মৎস্য বিভাগের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা লাল্টু কাজী

স্টাফ রিপোর্টার : পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জামুড়িয়া বিধানসভার নিমশায় একের পর এক পুকুরে মাছ মরে গিয়ে ভেসে উঠছে। অতিমারি কোভিড – করোনা আবহে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষ। যদিও শীতের সময় মাছের রোগ হয়ে থাকে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত শোনা যায়। তবে একাধিক পুকুরে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে রোগ ছড়াচ্ছে তাতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা যায়। জামুড়িয়া ব্লক ২ কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি লাল্টু কাজী জানান, প্রথমে পাশের গ্রাম খোট্টাডিহির লাল সায়ের এ মাছ মরে ভেসে ওঠার ঘটনা দেখা যায়। এখন নিমশার শাল গড়ে ও নতুন পুকুরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা লাল্টু কাজী বলেন, এরফলে এলাকার মৎস্যজীবী মানুষেরা আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়লেন। তিনি বলেন, আমাদের এখানকার অনেক পুকুর ব্যক্তিগত, অংশীদার সম্মিলিত আবার অনেক ক্ষেত্রে পুকুরের আয় মন্দির- মসজিদও পেয়ে থাকে। লাল্টু কাজী ব্লক মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন, যাতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়। এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তৃণমূল নেতা অবিলম্বে মৎস্য বিভাগের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ খনি- শিল্পাঞ্চলের নিমশা এলাকায় কৃষি ও শিল্পের অপূর্ব সমাহার দেখা যায়। কয়লা উত্তোলনের বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও এলাকায় কৃষির উর্বরভূমিও রয়েছে। রাঢ় বঙ্গের এই এলাকার অনেক পুকুরকে সেচের কাজেও লাগানো হয়। গ্রামের মানুষ জানান, তিনটি পুকুরেই মানুষ জন স্নান, কাপড় কাচা থেকে শুরু করে ব্যবহারের সমস্ত কাজই করে থাকেন। তিনটি পুকুরই কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার মুখে পড়লেন স্থানীয় মানুষ। এখন প্রশাসনিকভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নিমশার মানুষ।