|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ডাক্তার, আইএস, আইপিএসের পর এবার ভুয়ো শিক্ষক। TET পাশ না করেই চাকরি করছেন বহাল তবিয়তে ৫ বছর ধরে। ঘটনার বহর দেখে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ২০১৬-র পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে জনস্বার্থ মামলা শুরুর সুপারিশ করেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেইমত দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। হাইকোর্টে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা করতে।
হাইকোর্টের নির্দেশ মত ২০১৬ সালে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন ৪২ হাজার শিক্ষকের নথি জমা দিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। প্রথমে সিল বন্ধ খামে সেই রিপোর্ট দিতে চান রাজ্য সরকারের আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি সাফ না করে দেন সেই প্রস্তাবে। বিচারপতি বলেন, ‘কেন খাম সিল করা হয়েছে? তথ্য লুকনোর কী আছে?’ এরপর মামলাকারীর আইনজীবী বিচারপতি কে বলেন, চলতি বছরেও কয়েক হাজার নিয়োগ হয়েছে যাঁদের তথ্য খতিয়ে দেখা জরুরি।
এদিকে ৪২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নথি হাতে পাওয়ার পর বিচারক সেই কাগজ পত্র তুলে দেন মামলাকারীর আইনজীবীর হাতে। হাইকোর্ট মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, কোনও নিয়োগে ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে দেখতে হবে। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে মামলাকারীকে।
TET পাশ না করেই চাকরি করছেন বহু শিক্ষক!!
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরের এক কর্মরত শিক্ষকের চাকরি চলে যায়। কারণ তিনি TET পাশ না করেই চাকরি করছেন। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে এই শিক্ষক কোন নথি দেখাতে পারেন নি পাশ করা স্বপক্ষে। চাকরি চলে যাওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের স্বদেশ দাস নামের জনৈক যুবক ২০১৬ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করেন হাইকোর্টে। আর ঐ মামলাকে কেন্দ্র করেই সামনে আছে নজিরবিহীন বেনিয়ম।
নথি না দেখানোর সপক্ষে যুক্তি দিয়ে যুবক বলেন শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই কর্মরত ১২ জন শিক্ষকের নাম সামনে আনেন যারা TET পাশ না করেই চাকরি করছেন প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসেন ২২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। সেই পরীক্ষায় প্রেক্ষিতে ৪২ হাজার চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকতার নিয়োগপত্র পান ২০১৬ সালে। যার মধ্যেই রয়েছেন একাধিক ভুয়ো শিক্ষক।