স্বাধীন সবুজায়ন পক্ষ পালন

সেক আতিউল্লা, চন্ডিপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : ১৯৪৭ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা পেয়ে পরিবেশের গাছ কেটে চলেছি নির্বিচারে। স্বাধীন দেশে গাছের কি স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই! এই প্রশ্ন আজ সারা বিশ্বে। মানবিকতা আজ তলানিতে ঠেকেছে। যে মুহুর্তে পৃথিবীর ফুসফুস আমাজনে ভয়াবহ আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে হয়ে গেলো কয়েক লক্ষ গাছ সহ অসংখ্য প্রাণী। আর সেই মুহুর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের পরিবেশ প্রেমী সংস্থা “চলো পাল্টাই ” ১৫ ই আগস্ট থেকে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত কয়েক হাজার বৃক্ষ রোপন এর অঙ্গীকার করেছিলেন ।

    সেই কর্মসূচীর শেষ দিনে নন্দীগ্রামে বাইপাসের ধারে এক হাজার গাছ রোপন করার অঙ্গীকার নিয়ে প্রায় ৫৭ জন সেনারা উপস্থিত ছিলেন।

    কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন নন্দীগ্রাম বিডিও সুব্রত মল্লিক ও নন্দীগ্রাম থানার ওসি এ কে ঝা। এছাড়াও এখানকার বি. এম. টি. স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ ছাত্র ছাত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। শুধু নন্দীগ্রাম নয় এর আগে সুতাহাটা থানার অন্তর্গত গুয়াবেড়িয়া, মোহনপুর, হাওড়ার বাগনান এ এই একই কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

    নন্দীগ্রামের বাইপাসের ধারে রোপন করা হল বট, অশ্বথ, কৃষ্ণচূড়া, অমলতাস, বকুল, নিম, শোঁদাল, ছাতিম, বট, কালো জাম, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল সহ প্রায় চব্বিশ প্রজাতির চারাগাছ।

    ‘চলো পাল্টাই’ পরিবারের সভাপতি পলাশ বাড়ি বলেন, আমরা যখন কোনো এলাকাতে গাছ লাগানোর জন্যে পৌঁছাই আর যখন সেই এলাকার মানুষ নিজেরাই বেরিয়ে এসে আমাদের সাথে কাজে হাত লাগায় তখন আমাদের এই অঙ্গীকার পূরণ সার্থকতা পায়। স্থানীয় মানুষ যদি এভাবে সচেতন হয় তাহলেই আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কে একটা সুন্দর সবুজ পৃথিবী উপহার দিতে পারবো। নন্দীগ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত সৈকত শাসমল বলেন সবুজ পৃথিবী গড়ার লক্ষে আমরা এই কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। সংস্থার সম্পাদক সহ সম্পাদক ছন্দক দাস বলেন এবছর এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার গাছ লাগিয়েছি বিভিন্ন জায়গাতে। নন্দীগ্রাম এলাকাতে এক হাজার গাছ লাগানো হয়েছে।

    প্রথমেই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে পদযাত্রা তারপর এক এক করে বৃক্ষ রোপন করা হয়। সব থেকে বড় প্রাপ্তি এলাকার মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে তাদের কাছে তাদের বাড়িতে লাগানোর জন্যে গাছ নিয়ে যান প্রায় তিন শত পিস গাছ বিলি করা হয় বিকেলে। সবশেষে স্থানীয় একজন শিক্ষক তার বাড়িতে ডেকে সবার জন্যে চায়ের আয়োজন করেন।