স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও দূর্ঘটনায় আহত রোগীকে কলকাতার কোনো হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ, রোগীকে ফিরিয়ে আনতে হলো বহরমপুরে

জৈদুল সেখ, কান্দি: ডাম্ফারের ধাক্কা লেগে আহত হয়েছিল সৌরভ সেখ নামে ১৪ বছরের যুবক। পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে ৬ ইঞ্চি হাড় আলাদা হয়ে যায়! যন্ত্রনারত কাতর ছেলেটিকে প্রথমে কান্দি এবং পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তবে সেখানে সঠিকভাবে চিকিৎসা না দিতে পারায় চিকিৎসকেরা কলকাতায় রেফার করেছিলেন কিন্তু নীলরতন থেকে শুরু একাধিক সরকারী হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ করেন রোগীর আত্মীয়স্বজন।

    উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের কান্দি গাঁতলার মোড়ে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ একটি ডাম্ফার লরির ধাক্কায় গাঁতলা গ্রামের সৌরভ সেখের পায়ে গুরুতর চোট লেগে হাড় আলাদা হয়ে পড়ে যায়।সৌরভ সেখের আত্মীয় আজফার সেখ বলেন “বহরমপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া পর চিকিৎসকরা কলকাতায় রেফার করে। কলকাতার নীলরতন থেকে শুরু করে দু তিনটি হাসপিটালে অনেক অনুরোধ করেও ভর্তি নেয়নি। নীলরতন সামনে এক দালাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ১০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিল ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু অত টাকা কোথায় পাব! সারাদিন হয়রানি! রোগীর অবস্থা খুব খারাপ হতে থাকে! রাত্রি বেলায় আবার বহরমপুরে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করি। ”

    কান্দির বিশিষ্ট শিক্ষক দেলোয়ার সেখ বলেন “এটা একটা চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত। যে জেলার এত বড়ো মেডিক্যাল কলেজ ছেলেটির চিকিৎসা করতে পারলো না, সেখানে একটা বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে, তাতে বোঝায় যাচ্ছে চিকিৎসাটা বেসরকারিকরনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দান, অনুগ্রহের উপর বেশি বিশ্বাস রাখলে সাধারণ খেটে খাওয়া মেহনতি গরীব মানুষের অবস্থা ভয়াবহতার মধ্যে অতিবাহিত হবে।”

    এখন প্রশ্ন উঠছে সাধারণ গরীব মানুষ বহরমপুর থেকে সুদূর কলকাতায় গিয়ে হয়রানির স্বীকার হয়ে অসুস্থ রোগীকে নিয়ে ফিরে আসতে হলে এর চিকিৎসা এবং সুবিচার কে দিবে?