|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতায় এবার এক টুকরো বারাণসী। আর্মেনিয়ান ঘাটে হবে গঙ্গা আরতি। উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতায় গঙ্গা আরতি শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বারাণসী, হরিদ্বারে সন্ধের পর ঘাটে ঘাটে হয় গঙ্গা আরতি। এই আরতি দেখতে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। সেই গঙ্গা আরতি এবার কলকাতায়। উদ্যোগী কলকাতা পুরসভার উদ্যোন বিভাগকলকাতায় এবার এক টুকরো বারাণসী। আর্মেনিয়ান ঘাটে হবে গঙ্গা আরতি। উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতায় গঙ্গা আরতি শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বারাণসী, হরিদ্বারে সন্ধের পর ঘাটে ঘাটে হয় গঙ্গা আরতি। এই আরতি দেখতে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। সেই গঙ্গা আরতি এবার কলকাতায়। উদ্যোগী কলকাতা পুরসভার উদ্যোন বিভাগ এই নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে পুরসভা। কলকাতার গঙ্গা ঘাটে আরতি সম্ভব? এই ব্যাপারে গঙ্গা আরতির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে সেই কমিটি। এর পর কলকাতার একাধিক ঘাট ঘুরে দেখে বেছে নেওয়া হয়েছে আর্মেনিয়ান ঘাটকে।আপাতত সপ্তাহে একদিন, রবিবার গঙ্গা আরতি শুরু করা হলেও পরবর্তীতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দিন আরও বাড়ানো হবে বলে জানান পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার।দীর্ঘদিন আগেই পুরসভার কাছে প্রস্তাব এসেছিল, কলকাতার গঙ্গাকে কাজে লাগিয়েও বেনারস ও হরিদ্বারের আদলে এখানেও গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হোক। শেষমেষ নাগরিকদের প্রস্তাবে সম্মতি। কলকাতাতেও এবার গঙ্গা আরতি শুরু হতে চলেছে।
গঙ্গা আরতির জন্য পুরোহিত প্রয়োজন। পুরোহিতদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও বলেছে পুরসভার বিশেষজ্ঞ কমিটি। কলকাতার গঙ্গাকে কাজে লাগিয়ে আরতি ঘাট তৈরিতে এখন জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।পুরসভার তরফে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার আরও বলেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি একেবারে বেনারস কিম্বা হরিদ্বারের গঙ্গা আরতির আকর্ষণটাকে এখানেও ঠিক একইভাবে তুলে ধরতে’।
পুরসভা সূত্রের খবর, আর্মেনিয়ান ঘাটকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা। হাওড়া স্টেশন কিংবা হাওড়ার দিক থেকে যদি কেউ এখানে গঙ্গা আরতিতে অংশ নিতে আসেন, তা হলে তাঁদের কাছে খুব সহজেই হাওড়া ব্রিজ পার হলেই এই ঘাটে পৌঁছতে পারবেন।অন্যদিকে আশেপাশের এলাকার মানুষজনও যারা এই আর্মেনিয়ান ঘাটে গঙ্গা আরতিতে অংশ নিতে চান তাঁদের কাছেও এই জায়গায় পৌঁছনো সহজ হবে।