|
---|
মালদা, ১০ সেপ্টেম্বর, পুজোর বাজার সেরে বাইপাস রোড ধরে বাড়ি ফিরছিলেন শিক্ষক দম্পতি। ফাঁকা রাস্তায় ওই দম্পতিকে অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করে সশস্ত্র ছিনতাইবাজদের দল। এই ঘটনার তিন দিনের মাথায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাহাপুর এলাকার একটি আম বাগান থেকে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানা এলাকায়। ধৃতদের মধ্যে দুইজন আবার নবম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি ভোজালি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ওই শিক্ষক দম্পতির খোয়া যাওয়া মোবাইল, পুজোর বাজারে সামগ্রী এবং চুরি যাওয়া মোটরবাইকটি উদ্ধার হয়েছে। তবে উদ্ধার হয়নি নগদ আট হাজার টাকা। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সুরজিৎ ঘোষ (১৯), তার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। সে সাহাপুর গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো। অপর ধৃতের নাম সায়ন সাহা (২৮) ও বিধান মণ্ডল (১৭)। এদের বাড়ি চর কাদেরপুর এলাকায়। তারা স্থানীয় একটি হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। বাকি আরেক ধৃতের নাম অমিত মন্ডল (১৮)। তার বাড়ি চর কাদেরপুর গ্রামে।
এই ঘটনায় মালদার ডিএসপি (ডিএনটি) শ্যামল মন্ডল জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে পুরাতন মালদা থানার এসআই দিলিপ হালদারের নেতৃত্বে তিন জনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর শুরু হয় এলাকায় চিরুনি তল্লাশি এবং তদন্ত। বিভিন্ন সূত্র ধরেই এই চার ছিনতাইবাজের নাম, পরিচয় জানা যায়। এদিন রাতে সাহাপুর এলাকার একটি নির্জন বাগানে ওই ছিনতাইবাজদের দল জড়ো হয়েছিল। এবং সেখানে তারা ছিনতাই করা মোটর বাইক, পূজোর সামগ্রী, মোবাইল ভাগাভাগি করছিল। সেই মুহূর্তে অভিযান চালিয়ে পুরাতন মালদা থানার তদন্ত কমিটি অফিসারেরা অভিযুক্ত চার ছিনতাইবাজকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।পুরাতন মালদা থানার পুলিশ কর্তাদের মতে, এত অল্প বয়সে এইসব কিশোর-যুবকেরা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে তা উদ্বেগের বিষয়। ধৃত দুইজন নাবালককে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে।