|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- শিলিগুড়িতে বেআইনিভাবে সরকারি জমি এবং নদীর চর দখলের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত। আর এর তদন্তে নেমে ক্রমেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে উঠছে পুলিশ কর্তাদের। জালে একের পর এক জমি মাফিয়া। চর দখলের জন্যে সরকারী আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছিল রমরমা কারবার। নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে তৈরী করা হয় লোহার সেতু, তৈরী করা হয় নদী বাঁধ। লাখ লাখ টাকা খরচ করা হয়।লোহার সেতুর পর এবারে সাহু নদীর ওপর নির্মিত অবৈধ বাঁধও ভেঙে দেওয়া হল।শিলিগুড়ি সংলগ্ন ঠাকুরনগর ও জলডুমুর এলাকার ঘটনা। এনজেপি থানার পুলিশ এবং সেচ দফতরের কর্তারা গিয়ে আজ এই বেআইনি নদী বাঁধ গুঁড়িয়ে দেয়। মূলত নদীর চর দখলই যে জমি মাফিয়াদের কাছে প্রধান লক্ষ্য ছিল তা মোটামুটি পরিষ্কার। আর তাই জমির দাম বাড়াতেই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়। সেজন্যেই লোহার সেতু এবং বোল্ডারের বাঁধ তৈরী করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং সেচ দফতরকে অন্ধকারে রেখেই তা তৈরী করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অনেকেই মানতে নারাজ। তবে দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অবশ্য দাবী, তারা কিছুই জানতেন না।অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি নজরে আসে। তারপরই গত ২১ এপ্রিল অবৈধ লোহার সেতু ভাঙা হয়। আর আজ বুলডোজার দিয়ে প্রায় দেড়শো মিটার লম্বা বোল্ডারের বাঁধ সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শশীচন্দ্র রায় জানান, সেচ দফতরের কাছ থেকেই বিষয়টি জানা গিয়েছে। ডাবগ্রাম ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ও জানান, কে বা কারা জড়িত তা জানা নেই। তবে এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল।এদিকে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত। নতুন করে এনজেপি এবং ভক্তিনগর থানা আরও ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির একাধিক নদীর চর এবং সরকারি জমি জোর করে দখলের অভিযোগ রয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৬৮!