বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক টাইমলাইন

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: ধূমকেতুর মতো উত্থান, তারপর রকেট গতিতে পতন! একাধারে সাংসদ তথা সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় রাজনৈতিক সন্ন্যাস গ্রহণের ঘোষণায় এই কথাই প্রথম মাথায় আসছে। ২০১৪ থেকে ২০২১, বিজেপিতে উত্থান-পতন এই সাত বছরের ব্যবধানেই। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে আসানসোলে জয় দিয়ে শুরু। তারপর এবছর বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব খুইয়ে ভূপতিত। রাজনৈতিক অস্তাচলে যাওয়া যেন ভবিতব্য ছিল বাবুলের। একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক তাঁর রাজনৈতিক টাইমলাইনে-

    চলতি মাসেই তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনেকেই মনে করেছিলেন, বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির কোপেই বোধহয় ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বাবুল। তবে সাত বছরের রঙিন রাজনৈতিক জীবনে চড়াই-উতরাই সবই ছিল।

    ২০১৪- তৃণমূলের হেভিওয়েট শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনকে হারিয়ে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন বাবুল। অনেক রাজনৈতিক বোদ্ধাকে হতবাক করে দিয়েছিলেন। তার দুবছর পর মোদী মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়ে তাঁর। ২১ জনের মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন, আবাসন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত। তারপর ভারী শিল্প ও জনউদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী হন।

    ২০১৯- দ্বিতীয়বার আসানসোলে জয়ী বাবুল। এবার তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেনকে হারিয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ জয়। সেই সঙ্গে আসানসোলের রাজনীতিতে পাকাপাকি ক্ষমতা দখল।

    ২০২১- রকেট গতিতে পতন। বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। অনেক অঙ্ক কষে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বিপক্ষে তাঁকে দাঁড় করায় গেরুয়া শিবির। জয়ের ব্যাপারে তুমুল আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু ৫০ হাজারের বেশি ভোটে পরাস্ত হলেন। তার দুমাসের মধ্যে মন্ত্রিত্বও হারালেন।

    রাজনৈতিক জীবনে বিতর্কও কম পিছু নেয়নি তাঁর। বছর দুই আগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা ঘেরাও করে রাখেন তাঁকে। শারীরিক হেনস্তা, নিগ্রহ, গালিগালাজ খেয়েও ক্যাম্পাস ছাড়েননি তিনি।

    তার আগের বছর আসানসোলে এক ব্যক্তির পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ান। প্রতিবন্ধীদের অনুষ্ঠানে এসে প্রকাশ্যে একজনকে এমন হুমকি দেন তিনি। তারপর চলতি বছর ভোটের প্রচারের সময় দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই এক যুবককে চড় মেরে বসেন। ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। পরে সাফাই দিয়ে বলেন, দলীয় অফিসে অসভ্যতা করছিলেন ওই যুবক।