|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, বীরভূম: অসীম দাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাড়ির সামনের আন্দোলন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। তবে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে মৃত ছাত্রের বাবা।
প্রসঙ্গত, অসীম দাসের মৃত্যু ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দোষীদের শাস্তি চাই এবং উপাচার্যকে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হবে- এই দুই দাবিতে উপাচার্যের বাড়ির সামনে আন্দোলন শুরু করেন মৃত ছাতের পরিবার এবং আত্মীয়রা। পরে এই আন্দোলনে যোগ দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআইয়ের বিশ্বভারতী ইউনিট।
শুক্রবার সন্ধেয় অসীম দাসের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর শান্তিনিকেতনে আসতেই উপাচার্যের বাড়ি, শান্তিনিকেতন থানা হয়ে নিয়ে আসা হয় উপাসনা গৃহের সামনে। কর্মসচিব-সহ অন্যরা মৃত অসীমকে মাল্যদান করলেও উপাসনা গৃহ যাওয়ার বড় গেটের ভিতর থেকে সহপাঠীকে ভালবাসা জানান পাঠভবনের ছাত্রছাত্রীরা। আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কিছু লুকোতে চাইছে।
এদিকে উপাসনা মন্দির থেকে উপাচার্যের বাড়ির গেটের সামনে ছাত্রের মৃতদেহ আসতেই গেটের তালা ভেঙে উপাচার্যের বাড়ির সামনের রাস্তায় চলে আসে ছাত্রছাত্রীরা এবং অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। সূত্রের খবর, উপাচার্য তাঁর অনুগতদের মেসেজ করে জানান, তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, উপাচার্যের অনুগতরা তাঁদের হুমকি দিতে থাকেন উঠে যাওয়ার জন্য। পরিস্থিতি উতপ্ত হতেই একাধিক অধ্যাপক, কর্মীদের আটক করে শান্তিনিকেতন থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাতেই অনেককে ছেড়ে দিলেও শনিবার সকাল পর্যন্ত থানায় আটক থাকে শিক্ষাসত্রের শিক্ষক গৌতম সাহা এবং কর্মী রাজীব ঝাঁ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আপাতত আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।