|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক:সৌহার্দ্যের বার্তা দিতে শচীন পাইলটকে ক্ষমা করলেন অশোক গেহলট। বুধবার জয়পুরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ভুলে গিয়েছি এবং ক্ষমা করেছি। এটা বাস্তব বিধায়করা একটু মনঃক্ষুণ্ণ হবেন। গত একমাস ধরে তাঁদের ওপর দিয়ে যে ঝড় হয়েছে, যে ভাবে হোটেলবন্দী থাকতে হয়েছে এই আচরণ স্বাভাবিক। আমি ওদের বুঝিয়েছি দেশের কাজ করতে গেলে অনেক সময় সহিষ্ণু থাকতে হয়। রাজ্য, জনগণ ও গণতন্ত্রের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরি।”
তাঁর দাবি, “আমাদের ভুলকে ক্ষমা করতে হবে। অন্তত গণতন্ত্রের কথা ভেবে। অন্তত একশো জন বিধায়ক আমাকে সমর্থন করেছেন। এই লড়াই গণতন্ত্র বাঁচানোর। আর সেই লড়াইয়ে বিজেপি পরাজিত। ওরা মধ্যপ্রদেশ আর কর্নাটকে যা করেছে, সেটা রাজস্থানে করতে পারেনি।”
অন্যদিকে, বিদ্রোহে ইতি টেনে রাজস্থান ফিরেছেন কংগ্রেসের তরুণ নেতা শচীন পাইলট (Sachin Pilot)। জয়পুর নেমেই তিনি বলেছেন, “মনে কোনও বেদনা নেই। কখনই রাজ্য সরকারের অংশ ছিলাম না। তবে, প্রদেশ কংগ্রেস পরিবারের কর্তা হিসেবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের জন্য কোনও পদের দাবি করিনি। শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, যে বিধায়করা বিরোধিতা ভুলে মূলস্রোতে ফিরছেন, তাঁদের যাতে প্রতিহিংসার শিকার না হতে হয়।”
সোমবার প্রায় দু’ঘণ্টা দিল্লিতে রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের এই তরুণ মুখ। তার কয়েকদিন আগে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শচীন পাইলট। সেই থেকে বরফ গলার শুরু। এমনটাই দাবি করেছে কংগ্রেসের একটা সূত্র। জানা গিয়েছে, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা পাইলটকে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁর বিক্ষোভ শুনতে একটা কমিটি গঠন করবে হাইকমান্ড। সেই কমিটির অংশ হবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও।তবে, উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ পাবেন না পাইলট। তাঁকে পুনর্বাসন দিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে। তবে, বাকি ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে পরের রদবদলে মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হবে।