|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে নতুন করে সংযোজন হতে চলেছে সাতটি নতুন জেলা। তারমধ্যে নদিয়া থেকে বিভক্ত হয়ে নতুন জেলা হিসেবে সংগঠিত হতে চলেছে রানাঘাট। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে রাজ্যবাসীর মধ্যে। রাজ্যে এমন কোনও বিধানসভা কেন্দ্র নেই যেটি দুটি জেলার মধ্যে বিভক্ত। লোকসভা কেন্দ্র এমন অনেক আছে যেগুলি পাশের জেলার মধ্যে বিভক্ত। অর্থাৎ একটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত এক বা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র পাশের জেলার মধ্যে পড়েছে। কিন্তু বিধানসভা কেন্দ্রে এমন কোনও নজির নেই।ব্যতিক্রম কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা। যদি রানাঘাট ও নদিয়া আলাদা আলাদা দুটি জেলা হয় তবে প্রশাসনিক সমস্যা তৈরি হতে পারে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা নিয়ে এমনটাই জানালেন কৃষ্ণগঞ্জের স্থানীয় মানুষ। কারণ এই কেন্দ্রটি দুই জেলার মধ্যেই পড়ছে। এই কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭ টি কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের এলাকাগুলি কৃষ্ণনগর মহকুমার অধীন।নতুন জেলার হিসাব ধরলে সেগুলি নদিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আর বাকী আটটি অঞ্চল হাঁসখালী ব্লকে। অর্থাৎ হাঁসখালী ব্লক হওয়ার সুবাদে রানাঘাট মহকুমা এলাকা। নতুন জেলা হলে সেই ৮ টি অঞ্চলের মানুষ রানাঘাট জেলার বাসিন্দা হবে। এভাবে আদৌ সম্ভব কিনা যে একটা বিধানসভার অর্ধেক রানাঘাট জেলার, বাকী অর্ধেক নদিয়া জেলার তা নিয়ে দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ।জেলার এক আধিকারিকের মতে এই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক নিয়ে সমস্যা হবেই। রাজ্য সরকার যদি রানাঘাট জেলা করেই তবে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক এলাকা এবং কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকাকেও রানাঘাট জেলার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, না হলে সাংবিধানিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।