বিরল আকৃতির শিশুর জন্ম হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: একই শরীরে দুটো মাথা, চারটে হাত এবং চারটে পা। হ্যাঁ, এমনই বিরল আকৃতির শিশুর জন্ম হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ দুটি মাথা, চারটে হাত ও চারটি পা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি। চিকিৎসকদের ভাষায় যাকে বলে কনজয়েন্ট ট্যুইন্স।

    জলপাইগুড়ি জেলার লাটাগুড়ির মৌলানির বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। রাতেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে যান এবং সিজার করেন। অস্ত্রপচারের পর সদ্যোজাত যমজকে হাসপাতালেরই শিশুদের বিশেষ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।প্রসূতির স্বামী জিয়াউল জানান, ‘প্রসব যন্ত্রণা বাড়তে থাকায় প্রথমে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষার পর জানিয়ে দেয় জোড়া শিশু রয়েছে। তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে রাতেই রেফার করে মেডিক্যালে। সেইমতো এখানে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। জন্মের পর কয়েক ঘন্টা বেঁচেও ছিল ওরা। আজ সকালে মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলে।’

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, একটা বাচ্চা জন্ম নেয়নি, দুটি বাচ্চার জন্ম হয়েছিল। তাদের মাঝখানে বুকের দিকে জোড়া ছিল। এদের কনজয়েন্ট ট্যুইন্স বলে, যা বিরলতম ঘটনা। ৩৫ হাজার থেকে ২ লাখের মধ্যে এই ধরনের বিরল শিশুর জন্মের ঘটনা হয়। এর আগেও রাজ্যে এমন শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। তবে অপরিণত ছিল। ২৪ থেকে ২৫ সপ্তাহের হ‌ওয়ায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমই থাকে। তবু চেষ্টা করা হয়েছিল। আপাতত মেডিক্যালের ল্যাবেই ওদের রাখা হতে পারে। পরবর্তীতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের গবেষণায় কাজে লাগতে পারে। এখন চিকিৎসকদের লক্ষ্য মা’কে সুস্থ করে তোলা। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে শিশুদুটি। তাঁর শারিরীক নানা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই দম্পতির আগের একটি শিশু রয়েছে।