দক্ষিণবঙ্গে চলছে দাবদাহে, ডুয়ার্সে এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমান এ বৃষ্টি

দক্ষিণবঙ্গ: দক্ষিণবঙ্গ ভয়াবহ তাপপ্রবাহে কাঁপছে, কলকাতার তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি উপরে, শহরতলীর অবস্থা আরো ভয়ানক। প্রশাসন থেকে বারেবারে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।

    অপরদিকে এপ্রিল মাসে প্রাক বর্ষার আগে রেকর্ডসংখ্যক বৃষ্টিপাত হয়েছে ডুয়ার্সে। এখনো বর্ষাকাল আস্তে কিছু সময় বাকি, তার আগেই অতিবৃষ্টিতে ডুয়ার্সের পরিস্থিতি খারাপ হওয়া শুরু করেছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ডুয়ার্সে এক বছরে আনুমানিক 3000 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় । এইখানে এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত হয়েছে 572 মিলিমিটার। এই কারণে রীতিমতো চিন্তিত জেলা প্রশাসন।

    মধ্যে জেলা প্রশাসনিক অধিকর্তারা এই বিষয় নিয়ে ডুয়ার্স কন্যায় বৈঠক করেছেন। জেলার সমস্ত বিডিও দের এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নদীর বাঁধ গুলির পরিস্থিতি কি রকম আছে সেই ব্যাপারে পরিদর্শন করার কথা বলা হয়েছে। জেলায় মজুদ নৌকো ও বোর্ড গুলোর অবস্থা কিরকম আছে সেই বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

    বন্যা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে মানুষকে আগাম সর্তকতা করবার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে। তিস্তা তোর্সা ,ডায়না এই সব নদী গুলি বর্ষা বাদে অন্যান্য সময় শান্ত থাকে। অন্যান্য সময় দেখলে বোঝাই যায়না বর্ষাকালে কি মারাত্মক আকার ধারণ করে এই নদীগুলি। বিশেষ করে ডায়না নদীর গর্জন শুনে বুকে কাঁপুনি ধরে ওঠে। বরাবর ভয়ঙ্কর বর্ষাকালে এই নদীগুলি। এই নদী গুলির বন্যার কারণে প্রচুর প্রতিবছর প্রচুর এলাকা প্লাবিত হয়। ডুয়ার্সের মনোরম পরিবেশ দেখে পর্যটকরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েন। অপরদিকে ডুয়ার্সের নেগেটিভ দিক আছে, ডুয়ার্সের নদীগুলি বর্ষাকালে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে।

    1993 সালে আলিপুরদুয়ারে ভয়ানক বন্যা হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর প্রয়োজনীয় নথিপত্র নষ্ট হয়ে যায়। সেই বছরে এপ্রিল মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছিল গোটা ডুয়ার্স জুড়ে। অনুরূপভাবে এই বছরের এপ্রিল মাসেও রেকর্ড সংখ্যক বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই এখন থেকেই সতর্ক জেলা প্রশাসনিক অধিকর্তারা।