26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বীরভূমের বান্দখালা মোড়ে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শ্রীকান্ত নন্দী, নতুন গতি:

    26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বীরভূমের বান্দখালা মোড়ে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত হল ‘বর্তমান ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতা ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক অনুষ্ঠানটি। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে তুলে ধরার প্রত্যয়ে এরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছে। গতকালের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সহ সম্পাদক ডঃ নুরুল আলম মহাশয়।

    উপস্থিত ছিলেন ডঃ শ্রীকান্ত নন্দী, শিক্ষাবিদ আব্দুল হামিদ,জাকির হোসেন, কবি আব্দুল মাতিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবি মনিবুর রহমান, সমাজসেবী শ্যাম দাস, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ভবতোষ বিশ্বাস প্রমুখ। আব্দুল আজিম মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে আয়োজিত বান্দখালা গ্রামে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে এমিল পাবলিক স্কুল। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এলাকার মানুষজন, প্রতিবেশী ৫ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির ছাত্র ছাত্রীরা। সব মিলিয়ে উপস্থিত ছিলেন সাড়ে চারশোরও বেশি মানুষ। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা ছিল কাজী নজরুলের গান, কবিতা নিয়ে । ছিল তাৎক্ষণিক বক্তৃতার প্রতিযোগিতা। বিষয় ভাবনা – ‘বর্তমান ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতা ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা’। ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, বিষয় ভাবনা – ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’।
    বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সহ-সম্পাদক ডক্টর নুরুল আলম বর্তমান ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প আকাশ বাতাস আচ্ছন্ন করে ফেলেছে তা থেকে মুক্তির উপায় সন্ধানের দিশা দেখিয়েছেন, বুঝিয়েছেন এই জাতীয় অনুষ্ঠানের প্রাসঙ্গিকতাকে। এই প্রেক্ষাপটেই কাজী নজরুলের অসাম্প্রদায়িক ভাবনা-চিন্তার বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। আজকের বিচ্ছিন্নতাকামী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিনাশে কাজী নজরুলের গান, কবিতা কতটা প্রাসঙ্গিক তারও উল্লেখ করেছেন তিনি।


    অন্যান্য শিক্ষাবিদ যারা উপস্থিত ছিলেন তারাও বর্তমান ভারতবর্ষের এই সাম্প্রদায়িক পরিবেশের সঙ্গে যুঝে ওঠার জন্য কাজী নজরুলের ভাবনাকেই পাথেয় করেছেন তাই নয়, এই প্রসঙ্গে তারা স্মরণ করেছেন ভারতবর্ষের অন্যান্য মনীষীদের – রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি সুভাষ, স্বামী বিবেকানন্দ। প্রাতঃস্মরণীয় সকল মনীষীদের ভাবনাকে কিভাবে প্রতিটি মানুষের মধ্যে প্রত্যয়ের সঙ্গে প্রোথিত করে দেওয়া যেতে পারে সেই ভাবনারই প্রকাশ বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এই ধরনের অনুষ্ঠানে।
    বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম মহাশয় ও সম্পাদক শ্রী তন্ময় ঘোষ মহাশয় বলেছেন, ‘আগামী দিনে সকল শুভভাবনা সমন্বিত সাংস্কৃতিক চেতনা সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এরকম উদ্যোগ সংঘটিত হবে আরো।’